আপডেট

x

কসবায় করোনার অজুহাতে সকল বেসরকারি ক্লিনিকে টাকা দাবী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ ২০২০ | ৯:৫৩ অপরাহ্ণ |

কসবায় করোনার অজুহাতে সকল বেসরকারি ক্লিনিকে টাকা দাবী স্বাস্থ্য কর্মকর্তার
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের নামে ওষুধ কোম্পানী ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের কাছে টাকা চেয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রহমান।

এতে কোম্পানীর প্রতিনিধি ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

webnewsdesign.com

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কসবা উপজেলায় বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানীর ১১০জন প্রতিনিধি রয়েছে। ওই প্রতিনিধিদের নিয়ে উপজেলায় ফারিয়া নামে একটি সংগঠনও রয়েছে। দেশে করোনার ভাইরাসে কয়েকজন রোগী আক্রান্ত হয়েছে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য টাকার প্রয়োজন। উপজেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান ওই কোম্পানীর প্রতিনিধিদের ডেকে এনে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেছেন।

এই টাকা তুলে দেওয়ার জন্য ফারিয়ার সভাপতি আমির হামজাকে তিনি দায়িত্ব দেন। আমির হামজা টাকা উঠিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিষয়টি ব্রা‏হ্মণবাড়িয়া সিভিল সার্জন ডা: শাহ আলমকে অবহিত করেছেন।

এছাড়াও কসবায় ৩০টি ক্লিনিক ও ডেন্টাল সেন্টার রয়েছে। ওই সেন্টারের মালিকদেরকেও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডেকে এনে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে খরচের জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা বলেছেন।

কসবায় ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের সংগঠন ফারিয়ার সভাপতি আমির হামজা বলেন, কসবায় ফারিয়ার ১১০জন সদস্য রয়েছে। তারা প্রত্যেকে বিভিন্ন কোম্পানীর প্রতিনিধি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য প্রত্যেক কোম্পানীর কাছ থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান ১০ হাজার টাকা করে চাঁদা চেয়েছেন। তিনি বলেন, ডাক্তার মামুনুর রহমান তাকে ফোন করে জানিয়েছেন তিনি যেন প্রত্যেক কোম্পানীর প্রতিনিধির কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে তুলে দেন। এ এ ব্যাপারে আমির হামজার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান; বিষয়টি সিভিল সার্জনকে তিনি জানিয়েছেন।

কসবা ডায়গনষ্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি মো. আবু কাউছার বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের ডেকে নিয়ে বলেছেন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য আর্থিক সহযোগীতার প্রয়োজন। আমার কাছে কোন বাজেট বরাদ্দ নেই। আপনারা ১০ হাজার টাকা করে হাওলাত দিন। আমি টাকা বরাদ্দ পেলে ফিরিয়ে দিব। তিনি বলেছেন এটি তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। আবার কাউকে না জানানোর জন্যও ডা: মামুন তাকে বলেছিলেন। এ বিষয়ে আবু কাউছার এ প্রতিবেদককে জানান; তিনি এ ব্যাপারে কোনো টাকা দিতে পারবেন না। তখন আমরা বলেছি, আমরা টাকা দিতে পারব না। আমরা টাকা দেই নাই।

বিষয়টি নিয়ে কসবা ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ও ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের মাঝে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুনুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানী ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকদের ডেকে এনে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করার জন্য বলা হয়েছে। বিভিন্ন প্রচারপত্র ও লিফলেট বিতরন করার কথাও তিনি বলেছেন। কিন্তু কোনো কোম্পানী ও বা ডায়গনষ্টিক সেন্টারের মালিকের কাছে টাকা চাওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।

ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন মো. শাহ আলম বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কিংবা সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে কোন কোম্পনাী কিংবা ডায়াগনষ্টিক মালিকদের কাছে টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়নি। একক সিদ্ধান্তে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা টাকা চেয়েছিল। এ জন্য তাকে ভৎসর্না করা হয়েছে। কারো কাছ থেকে টাকা নেয় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

রুবেল/রাফি/–

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com