আপডেট

x

১৩ হাজার ২০০টি ফোন কল পেয়েও নীরব ছিল দিল্লি পুলিশ: আনন্দবাজার

শনিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ৩:২৩ অপরাহ্ণ |

১৩ হাজার ২০০টি ফোন কল পেয়েও নীরব ছিল দিল্লি পুলিশ: আনন্দবাজার
ফাইল ছবি
Spread the love

ভারতের রাজধানী দিল্লিরে চার দিনব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে পুলিশের কাছে ১৩ হাজার ২০০টি ফোন গিয়েছিল। ফোনে অভিযোগ করা হয়েছিল, কোথাও গুলি চলছে, কোথাও গাড়ি পুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এসব অভিযোগ ফোনে পাওয়া সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি দিল্লি পুলিশ। এনিয়ে একটি সংবাদ প্রকাশ করেছে পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা।

webnewsdesign.com

আনন্দবাজার পত্রিকা তাদের প্রতিবেদনে লিখেছেন-
সেখানের পরিস্থিতি নিয়ে এক দিকে দিল্লি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে এমন তথ্য সামনে আনল।

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ)-এর বিরোধী ও সমর্থকদের সংঘর্ষে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ২০০-র বেশি মানুষ। পুলিশ-প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই হিংসা এমন চরম আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, ফোনে বার বার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কল লগ খতিয়ে দেখে একটি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।

তাতে দেখা গিয়েছে, ২৩ তারিখ, রবিবার বিক্ষোভের প্রথম দিন সন্ধ্যাতেই ৭০০ ফোন গিয়েছিল পুলিশের কাছে। ২৪ তারিখে একধাক্কায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫০০। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ হাজার ৫০০ ফোন পায় পুলিশ। ওই দিন রাত থেকেই এলাকা পরিদর্শনে বার হন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। তার পর দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৫০০টি ফোন পায় পুলিশ।

শুধুমাত্র যমুনা বিহার থেকেই ভজনপুরা থানায় ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছে ওই সংবাদমাধ্যম। ভজনপুরা থানার আট পাতার কল রেজিস্টার খতিয়ে দেখে তারা জানিয়েছে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে, কী অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার জন্য রেজিস্টারের পাতায় আলাদা আলাদা কলাম থাকলেও, শুধুমাত্র কোথা থেকে ফোন এসেছিল, কী অভিযোগ তা-ই লেখা রয়েছে। এমনকি গুলি চলা এবং আগুন লাগানোর অভিযোগও লেখা রয়েছে তাতে। কিন্তু অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার উল্লেখ নেই সে ভাবে। অর্থাৎ অভিযোগ পেয়েও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

শুধু সাধারণ মানুষই নন, তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন যমুনা বিহারের বিজেপি কাউন্সিলর প্রমোদ গুপ্ত। পুলিশ তাঁর ফোনই ধরেনি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সংবাদমাধ্যমে প্রমোদ গুপ্ত বলেন, ‘‘পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি। পুলিশ যদি ব্যবস্থা নিত, পরিস্থিতি এতটা খারাপ দিকে মোড় নিত না।’’

একই অভিযোগ জানিয়েছেন শিববিহারের ‘রাজধানী পাবলিক স্কুল’-এর মালিক ফয়জল ফারুখ। তিনি জানান, সোমবার স্কুলে হামলা চালানো হয়। সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা বেরিয়ে গেলে বার বার পুলিশকে ফোন করেন তিনি। ফোনে তাঁদের আশ্বাস দিলেও, স্কুল চত্বরে পুলিশ এসেই পৌঁছয়নি।

সূত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com