আপডেট

x

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ধান কাটতে হয়নি কৃষক মিন্টুর, পাশে দাঁড়ালো ছাত্রলীগ

মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল ২০২০ | ৫:৪৪ অপরাহ্ণ |

স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ধান কাটতে হয়নি কৃষক মিন্টুর, পাশে দাঁড়ালো ছাত্রলীগ
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক মিন্টু মিয়ার পাশে দাঁড়ালো কসবা উপজেলা ছাত্রলীগ।

চলতি মৌসুমে প্রায় তিন বিঘা জমিতে বিআর-২৮ জাতের চাষ করা ধান কেটে দিয়েছে তারা। দুই সপ্তাহ আগেই জমির সব ধান পেকে শীষ নুয়ে পড়ে। কিন্তু চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে ধান কাটার জন্য শ্রমিক পাচ্ছিলেন তিনি।

webnewsdesign.com

সোনালী ধান গোলায় তোলা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কৃষক মিন্টু মিয়া। বৃষ্টি-বাদলের এই দিনে ধানগুলো সব জমিতে পড়েই নষ্ট হওয়ার শঙ্কা ছিল তার। সেজন্য উপায় না পেয়ে সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রী ও চার সন্তান নিয়েই কাটবেন জমির ধান। কিন্তু হঠাৎ করে লোকমুখে শুনতে পান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কৃষকের জমির ধান কেটে দিচ্ছেন।

মিন্টু মিয়া তার জমির ধান কেটে দেয়ার জন্য যোগাযোগ করেন কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিকের সঙ্গে। মানিক তাকে আশ্বস্ত করে পাকা ধান কেটে গোলায় তুলে দেবেন। এই আশ্বাসে কপাল থেকে চিন্তা ভাঁজ সরে মুখে হাসি ফোটে কৃষক মিন্টু মিয়ার।

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে মানিক ও কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ইব্রাহিমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কাস্তে হাতে নেমে পড়েন মিন্টু মিয়ার ধানি জমিতে। উপজেলা, পৌর ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অন্তত ৬০ জন নেতাকর্মী মিলে মিন্টু মিয়ার তিন বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মিন্টু নিজেও ধান কাটেন। রোজা রেখে ধানা কাটার পর সেই ধান আবার মিন্টুর বাড়িতে পৌঁছে দেন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

কৃষক মিন্টু মিয়া বলেন, ১৫ দিন আগে আমরা জমির সব ধান পেকেছে। কিন্তু ধান কাটার জন্য কোনো শ্রমিক পাচ্ছিলাম না। কোনো উপায় খুঁজে না পেয়ে ভাবছিলাম স্ত্রী-সন্তানদের নিয়েই জমির ধান কাটব। কারণ ধানগুলো এখন কাটতে না পারলে জমিতে পড়ে নষ্ট হয়ে যাবে। হঠাত লোকমুখে শুনতে পাই ছাত্রলীগের ছেলেরা ধান কেটে দেয়। পরে আমি ছাত্রলীগ নেতা মানিকের সাথে যোগাযোগ করার পর আমার ধান কেটে দেবে বলে জানায়। আজকে তারা সবাই আমার জমির ধান কেটে দিয়েছে। শ্রমিক দিয়ে এই ধানগুলো কাটতে আমার অন্তত ১৫ হাজার টাকা লাগত। ধান কেটে দেয়ায় তিনি ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন।

কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী মানিক জানান, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা রোজা রেখে কৃষক মিন্টু মিয়ার জমির পাকা ধান কেটে দিয়েছে। যেসব কৃষকরা শ্রমিকের অভাবে ধান কাটতে পারবেন না, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদের জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেবে। এই দুর্যোগে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী কৃষকদের পাশে আছে এবং থাকবে।

ধান কাটা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, কসবা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুমন রানা ও মো. টিটু, পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম রানা, বিনাউটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান মো. শাহরিয়ার, খাড়েড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুজন, বায়েক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সাদ্দাম প্রমুখ।

রাফি/-

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com