ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা একটি বিদ্যালয়ে গভীর নলকূপ খনন কালে পানি, বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কসবার সালদা গ্যাস ফিল্ডের প্ল্যান্ট অপারেটর রেজাউল করিম করিম।
তিনি জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বালু ও গ্যাস নির্গমন বন্ধ হয়েছে। এখন পরিস্থিতি একেবারে শান্ত। কূপের পানি কয়েক ফুট নিচে নেমে গেছে। ফলে স্থানীয়দের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার বিদ্যানগরের শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২ ফেব্রুয়ারি নতুন নলকূপ খননের কাজ শুরু করে। নলকূপ খননের পর গত ৫ফেব্রুয়ারী বুধবার সকালে হঠাৎ করে বিকট শব্দে ওই কূপ থেকে পানির সঙ্গে বালু ও গ্যাস বের হতে শুরু করে। তীব্র বেগে অনবরত বালু ও গ্যাস বের হওয়ার কারণে বিদ্যালয়টি বন্ধ ঘোষণা করে লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয় চারপাশে। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নি দুর্ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলের আশপাশ এলাকার বাড়ি-ঘরে চুলায় আগুন জ্বালাতে নিষেধ করে দেয়া হয়।
শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বালু ও গ্যাসের প্রভাবে বিদ্যালয়ের দুটি গাছ ও পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীরের একাংশ ধসে পড়ে। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়ে যায়। তবে সন্ধ্যা ৬টার দিকে বালু ও গ্যাসের নির্গমন কমে আসে।
এ ঘটনায় প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নতুন করে আর গ্যাস নির্গমন না হলে আগামী রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া।
শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আল মামুন ভূইয়া জানান, বালু ও গ্যাস নির্গমন হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীরের দেয়াল ধসে গেছে। এছাড়া শহীদ মিনার ও ভবন দেবে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে প্রায় এক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন