যুদ্ধাপরাধীর সন্তানরা কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। যদি কোথাও সদস্য হয়ে থাকে তাহলে তাকে বহিস্কার করা হবে। এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুর একটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর এলাকায় ভারতীয় মিত্র বাহিনীর স্মরণে স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের জন্য জায়গা পরিদর্শনে এসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কোনো অবস্থাতেই থমকে যাবে না। পর্যায়ক্রমে যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তি হচ্ছে। যারা খুব বড় যুদ্ধাপরাধী তাদের বিচারের কথা পত্র-পত্রিকায় ওঠে, মানুষ জানতে পারে। যারা নিম্নপর্যয়ে স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে-তাদের যে যাবজ্জীবন বা অন্যান্য শাস্তি হচ্ছে সেগুলো পত্র-পত্রিকায় আসেনা বলে মনে হচ্ছে যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ স্থগিত হয়েগেছে। কিন্তু বিচার কাজ চলমান আছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, সাত শতাধিক ভারতীয় সৈন্য আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করে বাংলার মাটিতে শহীদ হয়েছেন। আমরা তাদের স্মরণে একটি স্মৃতি স্তম্ভ করতে চাই। যেহেতু আশুগঞ্জে বেশি যুদ্ধ হয়েছে তাই আমরা মনে করি আশুগঞ্জের কোথায় স্মৃতি স্তম্ভটি হলে ভালো হবে।
এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়েল সচিব এস.এম আরিফ উর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজিমুল হায়দার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর দফতর) আবু সাঈদ, বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারী ও আশুগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন