আপডেট

x

ভারতের লোকসভার সদস্যের সহায়তায় দেশে ফিরলেন ক্যান্সার আক্রান্ত করুণাসিন্ধু

বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ | ১১:১১ অপরাহ্ণ |

ভারতের লোকসভার সদস্যের সহায়তায় দেশে ফিরলেন ক্যান্সার আক্রান্ত করুণাসিন্ধু
Spread the love

ভারতের লোকসভা সদস্যের সহায়তায় সেদেশে আটকা পড়া ক্যান্সার আক্রান্ত করুণাসিন্ধু চৌধুরী (৫৫) নামের এক বাংলাদেশি সস্ত্রীক দেশে ফিরেছেন।

বুধবার (৯জুন) দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে আখাউড়া সীমান্তে পৌঁছে দেওয়া হয় করোনা জয়ী এবং ক্যান্সার আক্রান্ত সিলেট সদরের বাসিন্দা করুণাসিন্ধু চৌধুরীকে।

webnewsdesign.com

করুণাসিন্ধু ভারতের চেন্নাই থেকে আগরতলা হয়ে দেশে ফেরার পথে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে অর্থসঙ্কটে পড়ে সস্ত্রীক আটকে যান। পরে ভারতের লোকসভার সাংসদ প্রতিমা ভৌমিকের সহায়তায় স্থানীয় আগরতলার ‘জিবি হাসপাতালে’ চিকিৎসা নিয়ে বুধবার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পৌঁছান তারা।

ভারতীয় লোকসভার সদস্য প্রতিমা ভৌমিকের বরাতে আগরতলার স্থানীয় সাংবাদিক আবদুস সাত্তার বলেন, গত এপ্রিলে স্ত্রীকে নিয়ে চেন্নাইয়ে ব্লাড ক্যান্সারের চিকিৎসা করাতে যান করুণাসিন্ধু চৌধুরী। চেন্নাই থেকে চিকিৎসা শেষে ত্রিপুরা হয়ে বাংলাদেশে ফেরার পথে আগরতলা বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষায় সংক্রমণ ধরা পড়ে তার। সেখান থেকে তাদের দুজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
“ব্লাড ক্যান্সার ও করোনা সংক্রমণে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে করুণাসিন্ধুকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এতে তার কয়েক লাখ টাকা খরচ হয়ে যায়। আর্থিক সঙ্কটে পড়ে ক্ষুদিরাম বসু বিদ্যালয়ে অবস্থিত কোভিড ওয়ার রুমে করুণার স্ত্রী সন্ধ্যা দাস চৌধুরী যোগাযোগ করেন।”

সাত্তার আরও বলেন, প্রতিমা ভৌমিক এই খবর পেয়ে হাসপাতালের চার লাখ টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। এরপর সোমবার তিনি করোনামুক্ত হন। তারপর বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সঙ্গে কথা বলে তাদের বাংলাদেশে ফিরে আসার ব্যবস্থা করেন প্রতিমা।

দেশে ফিরে করুণাসিন্ধু চৌধুরী চিকিৎসকসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এদিকে সেবামূলক এই কাজ করতে পেরে নিজেও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক।

আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূর-এ আলম বলেন,’বুধবার দুপুরে করুণাসিন্ধু চৌধুরী আখাউড়া চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। তাকে প্রথমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে তাকে ঢাকার বক্ষব্যাধি হাসপাতালে পাঠানো হয়’।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com