ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস. এম. মাহবুব হোসাইনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) দুপুরে মাহবুব ভাবির দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আলমগীর কবিরের আদালতের হাজির হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহবুরের বড় ভাই জাকির হোসেন সৌদি আরবে থাকেন। মাহবুব তার ভাবি রেহেনা আক্তারকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন। রেহেনাকে শ্বশুরবাড়ির কোনো ঘরে থাকতে দেন না বলে তিনি বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে একটি ঘর নির্মাণ করেন। এক পর্যায়ে মাহবুব ও আরেক প্রবাসী ছোট ভাই মোস্তফা হোসাইন ঘরটিও দখল করেন। ২০২০ সালের ১ আগস্ট রেহেনা ও তার ছেলেকে মারধরও করা হয়। এ সব ঘটনায় ৪ আগস্ট রেহেনা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। এর আগে ২০২০সালের ৬ নভেম্বর একই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মাহবুব। তারপর সে জামিনে ছিলেন।
মামলার বাদী রেহেনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী জাকির হোসেন তার নিজের পছন্দে আমাকে বিয়ে করেন। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন আমাকে মেনে নিতে পারেনি। আমার স্বামী একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার জন্য আমার ওপর নির্যাতন শুরু হয়। সবকিছু জেনেও আমার স্বামী নির্যাতনের প্রতিবাদ করেনি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি আমাকে রাখার জন্য বাড়িতে আলাদা একটি ঘর কেরে দেন আমার স্বামী। এরপর থেকে আমার ওপর নির্যাতন আরও বাড়তে থাকে। আমি ঘরে ঢুকতে পারিনি, আমাকে সবাই মিলে বের করে দিয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, তার ভাবির দায়ের করা একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন মাহবুব হোসেন। পরে আদালতের বিচারক তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন