ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস নদীতে অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেছে বিআইউব্লিউটিএ এবং নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর কর্মকর্তারা। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলে এই অভিযান।
ভ্রাম্যমাণ আদালত তিতাস নদীর নবীনগর উপজেলা সদরের ঘাট,বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার ঘাটে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ২২ অবৈধ নৌ-যানের মালিক, চালককে আট করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে লাইসেন্স, সনদ ও জীবনরক্ষা সামগ্রী না থাকার দায়ে তাদেরকে ৬ লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসান লিটন।
অভিযান চলাকালে বিআইউব্লিউটিএ
আশুগঞ্জ-ভৈরব নদীবন্দরের বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শহীদ উল্যাহ জানান, নৌ-নিরপাত্তা ও যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অবৈধ নৌ-যান চলাচল বন্ধ করার জন্য সঠিক পথে সঠিক নৌ-যান চলাচলের জন্য এই অভিযান। আজকের অভিযানে ২২টি নৌ-যানকে আটক করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা করা হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসান লিটন জানান, আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করেছি। এখানে আমরা ২২টি নৌ-যান আটক করেছি এরমধ্যে ড্রেজার, বালুবাহী বালহেন্ড, যাত্রীবাহী নৌ-যান রয়েছে। আমরা যে বিষয়টি দেখেছি তাদের কারোই সার্ভে এবং রেজিষ্ট্রেশন নেই। অভ্যন্তরীন নৌ-চলাচল আইন ১৯৭৬ এর ৩৩ ধারায় বলা আছে সার্ভে এবং রেজিষ্ট্রেশন বিহীন নৌ-চলাচল নিষিদ্ধ। সেই সাথে ৫৬ ধারায় বলা আছে জীবন রক্ষা সামগ্রী যেমন লাইফ বয়া, লাইফ জ্যাকেট, অগ্নি নির্বাপন যন্ত্র থাকতে হবে। এগুলোও আমরা পাইনি। পাশাপাশি মাষ্টার, ড্রাইভার, সুকানী যারা আছেন তাদের প্রশিক্ষনের মাধ্যমে যে সনদ থাকার কথা সেটিও ছিল না। যা নৌ-নিরাপত্তা আইনের ৬৬ ধারায় পড়েছে। এগুলো না থাকার কারণে দুর্ঘটনা গুলো ঘটে থাকে। লাইসেন্স, সনদ ও জীবনরক্ষা সামগ্রী না থাকায় ২২টি নৌ-যানের বিরুদ্ধে আইসিও ১৯৭৬ এর ৩৩,৫৬ ও ৬৬ ধারায় জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি জানান, তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। অভিযানকালে নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠনের সভাপতি মো.শামিম আহমেদ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন