আপডেট

x

বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেচে ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন নবনির্বাচিত নারী মেম্বার

মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১ | ১০:৫৬ অপরাহ্ণ |

বাড়ি বাড়ি গিয়ে নেচে ভোটারদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন নবনির্বাচিত নারী মেম্বার
Spread the love

গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। ওই নির্বাচনে জিনোদপুর ইউনিয়নের ৭.৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে প্রথমবারের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেছিলেন মরজিনা আক্তার। প্রথমবারেই বাজিমাত করে জয়লাভ করেছেন তিনি। সেই আনন্দে বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে গ্রামবাসীর বাড়িতে গিয়ে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জিনোদপুর ইউনিয়নের ৭.৮ ও ৯ নং সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মরজিনা আক্তার। মরজিনা আক্তার ৯নং ওয়ার্ড বলিবাড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার স্ত্রী। এই নির্বাচনে মরজিনা আক্তার সহ ৮জন নারী প্রার্থী অংশগ্রহণ করেন। বলিবাড়ি গ্রামে গত ২৫ বছর যাবত কোন সংরক্ষিত নারী সদস্য হিসেবে জয়লাভ করতে পারেননি। অন্য গ্রাম থেকে নারী সদস্য বিগত বছর গুলোতে জয়লাভ করায় এবার বলিবাড়ি গ্রাম একক প্রার্থী হিসেবে মরজিনা আক্তারকে সমর্থন দেয় নির্বাচনে। ফলে অন্য গ্রামগুলোর ৭প্রার্থীকে পরাজিত করে মরজিনা আক্তার নির্বাচনে জয়লাভ করেন। এতে গ্রামবাসীও অনেক আনন্দিত। তাই গ্রামবাসীর সমর্থনে জয়লাভ করায় মরজিনা গ্রামের প্রতিটি বাড়ি যাচ্ছেন কৃতজ্ঞতা জানাতে। এসময় তার সাথে থাকছে বাদ্যযন্ত্র। সেই বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে নেচে যাচ্ছেন মরজিনা। তাকে উপহার হিসেবে গ্রামের মুরব্বিরা টাকা দিচ্ছেন। সেই টাকার মালাও মরজিনা গলায় ঝুলিয়েছেন। এর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

webnewsdesign.com

মরজিনা আক্তারের স্বামী দুলাল মিয়া ছিলেন এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে দারোয়ান পদে চাকুরী করতেন। সম্প্রতি সেই চাকরি ছেড়ে দিয়ে কৃষি কাজে নিয়োজিত হয়েছেন দুলাল মিয়া। মরজিনা বেগম দুলাল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। দুলাল মিয়ার প্রথম স্ত্রী এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে মারা যান। গত প্রায় ১৫ বছর আগে মরজিনা আক্তারকে বিয়ে করেন দুলাল মিয়া। মরজিনার গর্ভে জন্ম নিয়েছে দুই ছেলে সন্তান।

এই বিষয়ে মতামত জানতে নবনির্বাচিত সংরক্ষিত নারী সদস্য মরজিনা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

তবে তার স্বামী দুলাল মিয়া বলেন, আমার স্ত্রীর প্রতি গ্রামের মানুষের অনেক সমর্থন ছিল। মরজিনা মেম্বার হওয়ায় আমিও খুশি। আমি চাই সে মানুষের কল্যাণে কাজ করবে।

দুলাল মিয়ার চাচাতো ভাই আবু মুসা বলেন, আমি নিজেও এবার ৯নং ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে পরাজিত হয়েছে। আমার ভাবি মরজিনা জয়লাভ করায় খুশি হয়েছি। যোগ্য প্রার্থী হিসেবে গ্রামের মানুষ একক ভাবে মরজিনাকে মনোনীত করেছিল।

-এএইচ রাফি/-

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com