আপডেট

x

নাসিরনগরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ৮জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা

মঙ্গলবার, ১২ অক্টোবর ২০২১ | ৭:৩৫ অপরাহ্ণ |

নাসিরনগরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন, ৮জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা গ্রামের আবদুল করিম হত্যা মামলায় ২১ আসামীর মধ্যে ১৩ আসামীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত। এর মধ্যে ৫ জনকে যাবজ্জীবন, ৫ জনকে ৫ বছর করে ও ৩ জনকে ১ বছর করে কারাদান্ড দেয়া হয়। রায়ে অভিযোগ প্রমান না হওয়ায় ৮জনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম এই রায় প্রদান করেন।

webnewsdesign.com

যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামী হলেন, জেলার নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা গ্রামের খাদেম আলী, জহিরুল ইসলাম (পলাতক),আলী আহাদ, গেসু মিয়া ও কুদ্দুস মিয়া।

৫ বছর কারাদন্ডে দন্ডিত ৫ আসামী হলেন, খান্দুরা গ্রামের জামাল মিয়া, ছোয়াব মিয়া, আরজু মিয়া কসাই, লোকমান মিয়া (পলাতক) ও আছমান মিয়া। এ মামলার ১ বছরের সশ্রম কারাদন্ড পাওয়া তিন আসামী হলেন, বরজু মিয়া, ইদ্রিস মিয়া ও জাহাঙ্গীর মিয়া।

আদালত যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত ৫ আসামীর প্রত্যেককেই ১০ হাজার অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড, ৫ বছরের কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীর প্রত্যেককেই ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৩ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড পাওয়া তিন আসামীর প্রত্যেককেই এক হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১৮ এপ্রিল বেলা ১১টায় নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা গ্রামের সালাম বাজারের কাছে মামলার আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আবদুল করিমকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করলে তাকে প্রথমে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসাশেষে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন।
আশংকাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ওইদিন (১৮ এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় ২০ এপ্রিল নিহতের চাচা হাজী আব্দুল হামিদ বাদী হয়ে ২১ জনকে আসামী করে নাসির নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

বিজ্ঞ আদালত উল্লেখিত আসামীদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ৫জনকে যাবজ্জীবন, ৫জনকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ৩ জনকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন। এ মামলার অপর ৮ আসামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন বিজ্ঞ ভারপ্রাপ্ত পিপি দ্বীন ইসলাম। আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবিদ উল্লাহ ।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী ভারপ্রাপ্ত পিপি দ্বীন ইসলাম বলেন,মামলার রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। অপর পক্ষে আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবিদ উল্লাহ বলেন, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করব।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com