আপডেট

x

কসবায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা, শিশু নিহত

বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১ | ৩:৩৫ অপরাহ্ণ |

কসবায় মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা, শিশু নিহত
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে ধাক্কায় ইভা (৮) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। বুধবার রাত ১টার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাড়েরায় পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইভা নেত্রকোনা জেলার আটপাড়ার মোবারকপুরের ইব্রাহীম মিয়ার মেয়ে। এই ঘটনায় ইভার বাবা-মা সহ অন্তত আর ১৩জন আহত হয়েছেন।

আহতদের মধ্যে পারুল (২৮), রীনা (২৭), তাহমিনা (৩২), নিহত ইভার মা ইয়াছমিন (২৮), তরিকুল, সিরাজ, রাজেশ ও শারমিনকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। নিহত ইভার বাবা ইব্রাহীমসহ আরও কয়েকজনকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য ককমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা সবার বাড়ি নেত্রকোনা জেলায় বলে জানা গেছে।

webnewsdesign.com

হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একটি মাইক্রোবাস নেত্রকোনা থেকে চট্রগ্রাম অভিমুখে যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসের যাত্রীরা সবাই চট্রগ্রামের গার্মেন্টন্স কর্মী ছিলেন। কোরবানির ঈদের ছুটিতে তারা বাড়িতে এসেছিলেন। ঈদ শেষে মাইক্রোবাস যোগে চট্রগ্রামের উদ্দেশ্যে তারা বুধবার রাতে রওয়ানা দেন। পথিমধ্যে মাইক্রোবাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটিতে সজোরে ধাক্কা দিলে অন্তত ১৩জন আহত হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় থানা পুলিশ। সেখানে শিশু ইভাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। আহতদের মধ্যে ইভার মা ইয়াছমিনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাদের সবাইকে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয়।

এই বিষয়ে ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সোলায়মান মিয়া জানান, এক শিশু সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছেন। বাকী আহতদের সার্জারী বিভাগে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ইয়াছমিন নামের এক নারীর অবস্থা আশংকাজনক।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আলমগীর ভূঞা জানান, ‘ঘটনার খবর পেয়ে কসবা থানা পুলিশ হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে নিহত শিশুর মরদেহ রাখা আছে’।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com