আপডেট

x

কসবার যুবককে ত্রিপুরায় পিটিয়ে হত্যা, ৩দিন পর লাশ ফেরত দিল ভারত

মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ | ৪:১৩ অপরাহ্ণ |

কসবার যুবককে ত্রিপুরায় পিটিয়ে হত্যা, ৩দিন পর লাশ ফেরত দিল ভারত
Spread the love

ভারতের ত্রিপুরায় ডালিম মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবকে পিটিয়ে হত্যার ৩দিন পর লাশ দেশে পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ। সোমবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-ত্রিপুরার আগরতলা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে নিহত যুবকের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। নিহত বাংলাদেশি যুবক ডালিম মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলা সীমান্তবর্তী গ্রাম বায়েক ইউনিয়নের মাদলা গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।

এসময় ত্রিপুরা রাজ্যের সিপাহিজলা জেলার টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার ওসি মিজানুর রহমান উপস্থিতিতে পরিবারের কাছে মরদেহটি বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

webnewsdesign.com

ভারতীয় টাকারজলা থানার ওসি দেবানন্দ রিয়াং উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের একটি স্কুল থেকে শনিবার সকালে এক শিক্ষকের মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কয়েকজন যুবক। এসময় সেখানকার অধিবাসীরা তাদের চোর সন্দেহ করে ধাওয়া করে ডালিমকে ধরে ফেলে এবং ঘটনাস্থলে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় জহিরুল ইসলাম নামে অপর এক বাংলাদেশি যুবক পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়। অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পরে জহিরুলকে টাকারজলা থানা পুলিশ জনরোষের কবল থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

নিহত ডালিম মিয়ার পিতা মোহন মিয়া পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগ তুলে বলেন, মাদলা গ্রামের হানিফ মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান শিমুল বেশ কিছুদিন যাবত ভারতে অবস্থান করছিলেন। গত ১০জুন শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শিমুলের ভাই জহিরুলসহ অন্যরা ডালিমকে ভারতে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। মোহন আরও জানান, শিমুলের স্ত্রীর সঙ্গে ডালিমের পরকীয়া চলছিল। পারিবারিকভাবে বিষয়টি আপস-মীমাংসা হলেও পরকীয়ার জের ধরেই শিমুল ও তার লোকজন ডালিমকে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

জানা গেছে, কসবা উপজেলার ডালিম মিয়াসহ জহিরুল (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩০) এবং হৃদয় মিয়াসহ (২৬) কয়েকজন বাংলাদেশি মিলে শুক্রবার রাতে কসবা সীমান্তপথে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করে।

আখাউড়া থানার (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, যেহেতু হত্যাকাণ্ড ভারতে ঘটেছে সুতরাং ভুক্তভোগী পরিবার এ বিষয়ে বিচার চাইলে ভারতের আদালতে আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন। এই ঘটনায় ভারতের স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর দুই দেশের পুলিশের উপস্থিতিতে মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com