আপডেট

x

এমপি-উপজেলা নির্বাচনে হারিয়েছেন জামানত, এবার তিনি ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী 

মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি ২০২২ | ৬:৫৮ অপরাহ্ণ |

এমপি-উপজেলা নির্বাচনে হারিয়েছেন জামানত, এবার তিনি ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী 
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন এ কে এম আশরাফুল আলম। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। এমপি-ইউপি চেয়ারম্যান হতে একের পর এক নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রতিনিধি হতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এমপি ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারিয়েছেন। এবার ৬ষ্ঠ ধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যাডভোকেট এ কে এম আশরাফুল আলম ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ছিলেন। এই নির্বাচনে মুসলিম লীগের প্রতিক হারিকেনে তিনি পেয়েছিলেন মাত্র ৯৭ ভোট। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ এবাদুল করিম ২৫১৫২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ফলে জামানত বাজেয়াপ্ত হয় আশরাফুল আলমের। এরপরের বছর ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় করেন অ্যাডভোকেট এ কে এম আশরাফুল আলম। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে তার মাইক প্রতিকে ভোট পান ২৭৩৯ ভোট। এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জাকির হোসেন সাদেক চশমা প্রতিকে ২৪৯১১ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন। ফলে এই নির্বাচনেও তিনি জামানত হারান।
এবার তিনি নবীনগর উপজেলার বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে টেলিফোন প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নিয়েছেন। আগামী ৩১ জানুয়ারি এই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি ইউনিয়ন বাসির উদ্দেশ্যে তার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে কি কি করবেন, তার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে তুলে ধরেছেন। এবার নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী এই আইনজীবী।

webnewsdesign.com

চেয়ারম্যান প্রার্থী এ কে এম আশরাফুল আলম বলেন, এমপি নির্বাচনে আমি শুধু মনোনয়ন দাখিল করেছিলাম। যেহেতু এই নির্বাচন ভাল করে করিনি, তাই এ নির্বাচনের কথা কাউকে আমি বলি না। ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে ২৭৩৯ ভোট পেয়ে ছিলাম। তিনি বলেন, শুধুমাত্র জনসেবা করার উদ্দেশ্য নিয়ে এবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আমি স্থানীয়দের জন্য যা করেছি তা একান্ত ব্যক্তিগত ভাবে করেছি। কোন নেতার সাথে যুক্ত হয়ে করেনি। গ্রামের মধ্যে কিছু বিষয় জড়িত, তাই আমি একাধিক নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। না হলে আমি শুধু একটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতাম। আমি নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের উন্নয়নে কি কি করবো, তা ইতিমধ্যে তুলে ধরেছি।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বিটঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭জন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। এছাড়াও সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য পদে ১৩জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৬জন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী ৩১জানুয়ারী এই ইউনিয়নের ইভিএম-এ ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com