আপডেট

x

আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও)

সোমবার, ০৮ এপ্রিল ২০১৯ | ৮:১৭ অপরাহ্ণ |

Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ সার কারখানা উৎপাদন অব্যাহত রাখার দাবিতে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে কারখানা প্রধান ফটক অবরোধ করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। এ সময় প্রধান ফটক দিয়ে কারখানা থেকে কমান্ড এরিয়া ভুক্ত ৭ জেলায় এক ঘন্টা সার সরবরাহ বন্ধ ছিল। সমাবেশে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি ঘোষনা দিয়েছে শ্রমিক-কর্মচারীরা। কতৃপর্ক্ষ সিদ্ধান্ত বদল না করলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হুশিয়ারী দিয়েছেন।

সমাবেশে আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ সার কারখানা শ্রমিক-কর্মচারি ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাঈফ উদ্দিন ফারুকী, সহ-সভাপতি হাজী মোঃ তৈমুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহিদুর রহমান প্রমুখ। সমাবেশ শেষে কারখানার প্রধান ফটক থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কারখানার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

webnewsdesign.com

শ্রমিকরা জানান, দীর্ঘদিন গ্যাস সংকটের কারণে আশুগঞ্জ সার কারখানার উৎপাদন বন্ধ থাকলেও বর্তমানে এলএনজি গ্যাস চালুর পর চলতি অর্থবছর থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত থাকাতে গ্যাসের সংকট নেই। এ জন্য কারখানা কতপৃর্ক্ষ চলতি অর্থ বছরের ১লক্ষ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করেছিল। কিন্তু বিসিআইসি কতৃপর্ক্ষ চলতি অর্থ বছরের জুন মাস পর্যন্ত দেড় লক্ষ মেট্রিকটন উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারন করে। চলতি অর্থ বছরের এ পর্যন্ত ১লক্ষ ১৬ হাজার মেট্রিকটন ইউরিয়া সার উৎপাদন হয়েছে। লক্ষমাত্রা অর্জিত হওয়ার বাকী রয়েছে আরো ৩৪ মেট্রিকটন। দীর্ঘদিন পর কারখানাটি লোকসানী থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হওয়ার সুযোগ থাকলেও হঠাৎ করে ১৫ এপ্রিল থেকে আড়াই মাসের জন্য উৎপাদন বন্ধ রেখে কুলিং টাওয়ারসহ বিভিন্ন প্লান্টের যন্ত্রাংশ মেরামতের সিদ্ধান্ত নেয় কারখানা কতৃপর্ক্ষ। র্দীঘদিন পর লোকসানী প্রতিষ্ঠান থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ থাকলেও কারখানার উৎপাদন আড়াই মাস বন্ধের সিদ্ধান্তে চলতি অর্থ বছরে উৎপাদন লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে না। এ জন্য এ অর্থবছরেও লোকসানের মুখে পড়বে কারখানাটি। এতে করে লভ্যাংশ বোনাসসহ আর্থীক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শ্রমিক-কর্মচারী। তাই শ্রমিক-কর্মচারীদের দাবি অবিলম্বে কারখানার উৎপাদন অব্যাহত রেখে লোকসানী থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের।

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন জানান, অবিলম্বে কারখানা কতৃপর্ক্ষ এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আগামী ১১ এপ্রিল অবস্থান কর্মসুচি থেকে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসুচি দেয়া হুমকি দিয়েছেন।

কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি বাবুল মিয়া জানান, কারখানটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান থেকে লোকসানী প্রতিষ্ঠানের রূপান্তরীত হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারী নিরলস ভাবে চেষ্টার ফলে কারখানাটি লোকসানী থেকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের দ্বার পান্তে আসার পর কতৃপর্ক্ষ কারখানার উৎপাদন বন্ধের পায়তারা করছে। যা খুব দুঃখজনক। তাই দ্রুত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আশুগঞ্জ সার কারখানা ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান জানান, কারখানাটির বিভিন্ন প্লান্টের ক্রটি থাকাতে জরুরি মেরামত না করা হলে কারখানার ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই বিসিআইসির পরিচালনা সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে কারখানা বন্ধ করে মেরামত কাজ করা হবে। ইতিমধ্যে বিদেশী বিষেশজ্ঞদের আমন্ত্রন জানানো হয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের বিষয়ে বিসিআইসি কতৃপর্ক্ষ সিদ্ধান্ত নিবে। ইতিমধ্যে বিসিআইসি কতৃপর্ক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com