আপডেট

x

আ’লীগ থেকে বহিস্কার হয়ে বিজয়নগরে ৪ প্রার্থীর জয়, নৌকার জামানত বাজেয়াপ্ত

সোমবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২১ | ৬:৪৪ অপরাহ্ণ |

আ’লীগ থেকে বহিস্কার হয়ে বিজয়নগরে ৪ প্রার্থীর জয়, নৌকার জামানত বাজেয়াপ্ত
Spread the love

চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন। রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভোট গ্রহণ শেষে রাতে প্রকাশ করা হয় ফলাফল। নির্বাচনী ফলাফলে ১০টি ইউনিয়নের ৫টিতেই জয়ী হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। এরমধ্যে ৪টিতে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী করে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া নেতারা। এদিকে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চতুর্থ ধাপে বিজয়নগর উপজেলায় তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ১০টি ইউনিয়নে তাদের প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করেন। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশগ্রহণ করায় ১৭জনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত হওয়া নির্বাচনে বহিস্কৃত নেতাদের মধ্যে ৪জনই চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছেন।
বিজয়ী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন, চম্পকনগর ইউনিয়নে দুটি পাতা প্রতিক নিয়ে আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ২হাজার ৪২৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হামিদুল হক পেয়েছেন ১হাজার ৯৮১ ভোট। ইছাপুরা ইউনিয়নে জিয়াউল হক বকুল আনারস প্রতিকে ৩হাজার ৫৪৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের আরেক বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তার হোসেন ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ৩হাজার ৩৫৬ ভোট। পত্তন ইউনিয়নে তাজুল ইসলাম ঘোড়া প্রতিকে ৬ হাজার ২০৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী কামরুজ্জামান রতন পেয়েছেন ৫হাজার ৮৬৯ ভোট। বিষ্ণুপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল উদ্দিন চশমা প্রতিকে ৩হাজার ৯২৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আল মামুন পেয়েছেন ৩হাজার ৪ভোট।

webnewsdesign.com

এবিষয়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া নির্বাচনে জয়লাভ করা চেয়ারম্যান প্রার্থী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়মের অভিযোগ আছে। এছাড়াও সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ ব্যবহার করা সহ লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে।  তারপর তাকে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়। যোগ্য প্রার্থী মনোনয়ন না দেওয়া জনগণ তা গ্রহণ করেননি। সাধারণ মানুষের ভালবাসায় আমি চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছি।

এদিকে, উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করে। ভোটের ফলাফলে ৭ প্রার্থীর মধ্যে ১৪২৬ ভোট পেয়ে ৬ষ্ঠ হয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী এফতেহারুল ইসলাম। এই ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজি সাইয়্যাদুল ইসলাম চশমা প্রতিকে ৭হাজার ৩৫৮ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মাহবুব আলম ঘোড়া প্রতিকে ৪হাজার ১৫৪ ভোট পেয়েছেন। বুধন্তী ইউনিয়নে মোট ভোট গ্রহণ করা হয় ১৯১৯৫ ভোট।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী মোট প্রাপ্ত ভোটের ৮ভাগের একভাগ কোন প্রার্থী ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।
সেই সেই অনুযায়ী ২৩৯৯ ভোটের কম ভোট পাওয়া বুধন্তী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জামানত বাজেয়াপ্ত করা হবে।

নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীদের পরজয়ের বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া বলেন, এই নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি। ফলে বিদ্রোহী প্রার্থীরা বিএনপির কিছু ভোট পেয়েছে, এছাড়াও আওয়ামী লীগের করার কারণে কিছু ভোট তাদের দলীয়ভাবে পেয়েছেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com