আপডেট

x

আখাউড়ায় পুকুরের পানি পরীক্ষা করে মৎস্য চাষীদেরকে পরামর্শ

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট ২০২১ | ৯:৩৯ অপরাহ্ণ |

আখাউড়ায় পুকুরের পানি পরীক্ষা করে মৎস্য চাষীদেরকে পরামর্শ
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আখাউড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে মৎস্য চাষীদের পুকুরে গিয়ে তাদেরকে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপাড়া ও রহিমপুর গ্রামে চাষীদের পুকুর পাড়ে গিয়ে পুকুরের পানি পরীক্ষা করে তাদেরকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়।

webnewsdesign.com

এসময় পুকুরের পানিতে ক্ষার ও এসিডের পরিমাণ কত তা পরিমাপ করে মৎস্য চাষীদের জানিয়ে দেয়ার পাশাপাশি মাছের উৎপাদন বাড়ানো বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় সাতপাড়া গ্রামের পুকুর পাড়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জ্যোতি কনা দাস, উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার মো. রেজাউল করিম ও সাংবাদিক বিশ্বজিৎ পাল বাবু। পরে রহিমপুর গ্রামেও একই ধরনের অনুষ্ঠান করে চাষীদেরকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়।

সাতপাড়া গ্রামের মৎস্য চাষী হিরন মিয়া জানান, তার পুকুরের পানি পরীক্ষা করে এতে ক্ষার ও এসিডের পরিমান ৮.১ মাত্রার বলে তাকে জানানো হয়েছে। এটা স্বাভাবিক বলে তাকে জানানো হয়। তিনি তার পুকুযরে রুই, কাতলা, মৃগেল ইত্যাদি মাছ চাষ করে গত বছর ভালো লাভ করেছেন বলে জানান।

একই এলাকার মৎস্য চাষী এরশাদ মিয়া জানান, তার ৬০ শতাংশের একটি পুকুরে তিনি আড়াইশ গ্রাম ওজনের মাছ ছেড়েছেন। মৎস্য অফিসের লোকজন তাকে মাছের উৎপাদন বাড়াতে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়েছেন।

সাতপাড়া গ্রামের মৎস্য চাষী ফেরদৌস মিয়া জানান, মৎস্য অফিসের লোকজন তার পুকুরের পানিও পরীক্ষা করেছেন। পানি পরীক্ষা করে করণীয় সম্পর্কে তাকে পরামর্শ দিয়েছেন মৎস্য অফিসের লোকজন।

এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য সম্প্রসারণ অফিসার মো. রেজাউল করিম বলেন, মাছ চাষে আখাউড়া উপজেলা অনেকটা এগিয়ে। আমরা চেষ্টা করি মাছ চাষীদেরকে সব ধরণের সেবা দেয়ার। এরই অংশ হিসেবে এলাকায় গিয়ে পুকুরের পানি পরীক্ষা করে মৎস্য চাষীদেরকে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার জ্যোতি কনা দাস বলেন, পানিতেই মাছের সংসার। তাই সবার আগে পানির অবস্থা সম্পর্কে জানতে হবে। পানিতে ক্ষারের মাত্রা সাড়ে সাত থেকে সাড়ে আট পর্যন্ত হলে সেটা আদর্শ। মাছের খাবার দেয়া, পানিতে চুন দেয়ার বিষয়েও সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। অতিরিক্ত খাবার কিংবা চুনের জন্য মাছের ক্ষতি হয়। তিনি বলেন, পোকা মাকড় যেন না হয় সেজন্য পুকুর পাড়ে দেয়া যেতে পারে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com