আপডেট

x

আখাউড়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা

রবিবার, ০২ জানুয়ারি ২০২২ | ৮:৪৭ অপরাহ্ণ |

আখাউড়ায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যা
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় জায়গা নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের দায়ের কোপে জোহরা খাতুন (৭৫) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। রোববার (০২জানুয়ারি) দুপুরের দিকে পৌরশহরের শান্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত জোহরা খাতুন ওই এলাকার মৃত রশিদ খাঁর স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

আটককৃতরা হলেন, নিহতের দেবর শান্তিনগরের বজলু খাঁ (৭০), বজলু খাঁর ছেলে ফজল খাঁ (৪০) ও বজলু খাঁর মেয়ে বিলকিছ ওরফে বেগম (৩৫)।

webnewsdesign.com

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৃত সুজাত খাঁর দুই ছেলে রশিদ খাঁ ও বজলু খাঁর মধ্যে বাড়ির ৯ শতক জায়গা নিয়ে ৩৬ বছর ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি আদালতে গড়ালে গত ৬ বছর আগে রশিদ খাঁ আদালতের মাধ্যমে রায় পেয়ে ওই ভূমিতে সীমানা দেওয়াল নির্মাণ করেন। কিন্তু বজলু খাঁ ও তার পরিবারের লোকজন বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে একাধিকবার তর্কবিতর্ক ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ ছিল। রোববার সকালে বজলু মিয়া ও তার ছেলেসহ ১০-১২ লোক সকালে জোরপূর্বক রশিদ খাঁর ভূমির সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এ সময় রশিদ খাঁর ছেলেরা দেওয়াল ভাঙার কারণ জিজ্ঞাসা করলে প্রতিপক্ষ বজলু খাঁর লোকজন উত্তেজিত হয়ে তাদেরকে মারতে আসে। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে রশিদ খাঁর ছেলেরা সেখান থকে চলে আসে। এর কিছুক্ষণ পরে ফজল খাঁর ছেলে ইয়াছিন খাঁ (২০) ও মাছুম খাঁ (৩০) রশিদ খাঁর ঘরে ঢুকে জোহরা খাতুনের মাথায় সজোরে কোপ দিয়ে মারাত্মক জখম করে। জোহরার চিৎকারে তার ছেলে ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অল্পকিছুক্ষণ পর হাসপাতালেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।

নিহত জোহরা খাতুনের মেয়ে তাহমিনা বেগম বলেন, ‘প্রায় ৩৬ বছর ধরে জায়গা নিয়ে কাকার সঙ্গে (বজলু খাঁ) আমাদের মামলা চলছিল। ৬ বছর আগে আদালতের মাধ্যমে আব্বা জায়গা পেয়ে দেয়াল দিয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা আমাদের সঙ্গে ঝগড়া করত। এই জায়গার ঝামেলার কারণে আমার আব্বা চিন্তা চিন্তায় মারা গেছেন। আজকে তারা আমার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে জোহরা খাতুনের ছেলে জাহাঙ্গীর খার ছেলে রনি খা বলেন, ‘তাদের একটি মামলায় হাজিরা দিতে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলে যাই। দুপুরে এসে দেখি বজলু খাঁ ও তার ছেলেরা আমাদের দেওয়াল ভেঙে ফেলতেছে। এ সময় আমরা প্রতিবাদ করলে তারা উত্তেজিত হয়ে আমাদেরকে মারতে আসে। পরে লোকজন আমাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এর পরপরই বজলু খাঁর নাতি ইয়াছিন আমাদের ঘরে ঢুকে দা দিয়ে কুপিয়ে আমার মাকে হত্যা করে।’

এ বিষয়ে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) নাহিদ হাসান বলেন, ‘এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ববিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা হয়নি’।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com