ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সুরাইয়া (ছদ্মনাম)। সবেমাত্র স্কুলে প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিকে ৬ম শ্রেনীতে উঠেছে। করোনার মহামারীতে স্কুল বন্ধ থাকায় বাড়িতে হেসেখেলে দিন পার করছিল সে। এরই মাঝে বাল্যকালে তার বিয়ের আয়োজন করে পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে শুক্রবার (৩০জুলাই) দুপুরে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৩বছরের সেই নাবালিকার বিয়ে পন্ড করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।
এসময় ওই কিশোরীর বাবাকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরিবারের কাছ থেকে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা নেয়া হয়। পরে উপস্থিত সকলকে বাল্য বিবাহের কুফল সম্পর্কে অবহিত করার সাথে সাথে বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলে তাকে অবহিত করার অনুরোধ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুমানা আক্তার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমানা আক্তার বলেন,’গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ফারজানা আক্তারের (১৩) সঙ্গে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুরের দুলাল মিয়ার ছেলে সজীব মিয়ার (২৩) বিয়ের আয়োজন করা হয়। লকডাউনের কারণে আয়োজনটি অনেকটা গোপনে করা হয়। গোপন খবরের ভিত্তিতে ওই স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে হাজির হই। বরযাত্রী তখনো আসেনি’।
তিনি আরও বলেন, ‘মেয়ের বাবাকে বিয়ের জিগ্যেস করলে তিনি বিয়ের বিষয়টি স্বীকার করলে তাকে বাল্য বিবাহ নিরোধ আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং তার কাছ থেকে মুচলেকা নেয়া হয় আগামী ৫ বছরের আগে তিনি তার মেয়ে বিয়ে দিবেন না’।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি সদস্য সহিদ মিয়া, মহিলা ইউপি সদস্য সাফিয়া খাতুন ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন