দুই দফা জানাজার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বহু প্রচারিত দৈনিক আজকের হালচাল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্পাদক পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য মোঃ আবেদুল হক (আবেদ) এর মরদেহ শহরের শেরপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সাংবাদিক মোঃ আবেদুল হক (আবেদ) মঙ্গলবার রাত ২.৪৫ মিনিটে ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি— ——রাজেউন)। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ হৃদরোগ, কিডনি সমস্যা ও ডাইবেটিসসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল (৫০)।
মঙ্গলবার বাদ জোহর বঙ্গবন্ধু স্কয়ারস্থ আব্দুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী এডঃ হারুন আল রশিদ, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি জার্নালিষ্ট সভাপতি ও দৈনিক সমতট বার্তার সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল আলম, দৈনিক তিতাস কন্ঠের সম্পাদক প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজাসহ শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এলাকার মুরুব্বীগণ ও দৈনিক আজকের হালচাল পত্রিকার বিভিন্ন উপজেলা প্রতিনিধিসহ নানা পেশার ও শ্রেনীর মানুষ অংশ গ্রহন করে।
জানাজা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পক্ষে সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর নেতৃত্বে সাংবাদিকবৃন্দ পুষ্পস্তর্পক অর্পন করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া টিভি জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি ও সমতট র্বাতার সম্পাদক মোঃ মঞ্জুরুল আলম সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে নিয়ে পুস্পস্তপক অর্পন করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পরে মরহুম আবেদুল হক আবেদের মরদেহ তার পৈতৃক বাড়ী সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় আতœীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশীসহ অংসখ্য মানুষ এক নজর দেখার জন্য ভীর জমায়। বাদ আছর শাহবাজপুর গ্রামে বড় মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মরহুমের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পড়ে তার মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের শেরপুরস্থ কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আবেদুল হক স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ২ মেয়েসহ অসংখ্যা আতœীয় স্বজন , গুনগ্রাহী ও শুভানুধায়ী রেখে রেখে গেছেন ।তার মৃত্যুতে সাংবাদিক সমাজসহ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। আবেদের মৃত্যুর সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িযে পড়লে তার স্বজনসহ শুভানুধায়ীরা পৌর শহরের মৌলভীপাড়াস্থ বাস ভবনে এক নজর দেখার জন্য ভীর জমায়। এসময় তার প্রতিষ্ঠানের কর্মরত অনেকেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন