আপডেট

x

থাইল্যান্ডের দাবি করোনাভাইরাসের ঔষধ আবিষ্কার করেছে তারা

সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ |

থাইল্যান্ডের দাবি করোনাভাইরাসের ঔষধ আবিষ্কার করেছে তারা
Spread the love

ফ্লু এবং এইচআইভি চিকিৎসার ওষুধের সংমিশ্রণে করোনাভাইরাসের নতুন একটি ওষুধ তৈরি করেছেন থাইল্যান্ডের এক দল চিকিৎসক।
এর নিয়ে হইচই ফেলে দিলেন তারা।

গুরুতরভাবে অসুস্থদের মধ্যে নতুন এই ওষুধের প্রয়োগে প্রাথমিকভাবে ব্যাপক সাফল্য মিলেছে বলেও তারা দাবি করেছেন।

webnewsdesign.com

এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে গুরুতর অসুস্থ রোগীরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন বলে ব্যাংকক হাসপাতালের ওই চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।

নতুন এই ওষুধ প্রয়োগের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
এইচআইভি চিকিৎসায় লোপিনাভির ও রিটোনাভির ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আর ফ্লুর চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ওসেলটামিভির। করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বেশি পরিমাণে ওসেলটামিভিরের সঙ্গে লোপিনাভির ও রিটোনাভির রোগীর দেহে প্রয়োগ করা হচ্ছে। আর এতে ব্যাপক সাড়া মিলেছে বলে চিকিৎসকদের দাবি।

এই প্রসঙ্গে রাজাভিথি হাসপাতালের ফুসফুস বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ক্রিয়াংসকা অতিপোরওয়ানিচ বলেন, “এই ওষুধের প্রয়োগে রোগ সম্পূর্ণ সেরে যাচ্ছে, এমন নয়। তবে রোগীদের অবস্থার দ্রুত উন্নতি ঘটছে। আর একটা একটা বড় সাফল্য। ”

রহস্যময় ভাইরাসটিতে এখন পর্যন্ত ৩৬১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

রবিবার পর্যন্ত ছিল ৩০৪। আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে!
যে হুবেই প্রদেশ থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়েছে সেখানেই শুধু মারা গেছে ৩৫০ জন। আক্রান্ত ১১ হাজারের বেশি।

এখন পর্যন্ত ৩২৮ জন ‍সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।

চিকিৎসকেরা বলছেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে মারাত্মক জটিলতা দেখা দিতে পারে। এটি মোড় নিতে পারে নিউমোনিয়া, রেসপিরেটরি ফেইলিউর বা কিডনি অকার্যকারিতার দিকে। পরিণতিতে ঘটতে পারে মৃত্যু।

করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মতো। কারো কারো ক্ষেত্রে ডায়রিয়াও দেখা দিতে পারে।

এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে। সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। সাধারণ ফ্লুর মতোই হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ছড়াতে পারে এ রোগের ভাইরাস।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com