চাকরির প্রলোভনে মধ্যপ্রাচ্যের ড্যান্সবারে নারী পাচার করতো তারা

সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২০ | ১১:১৭ অপরাহ্ণ |

চাকরির প্রলোভনে মধ্যপ্রাচ্যের ড্যান্সবারে নারী পাচার করতো তারা
ছবি সংগৃহীত
Spread the love

ভালো বেতনে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ থেকে সহস্রাধিক তরুণীকে ড্যান্সবারে পাচারের অভিযোগে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের প্রধানসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রোববার রাতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর, মুগদা ও কেরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা দুই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে।

webnewsdesign.com

এছাড়া বিভিন্ন বয়সী নারীদের ৩৯টি পাসপোর্ট, ৬৬টি পাসপোর্টের ফটোকপি, ৩৬টি ভিসার ফটোকপি, ১৮টি বিমানের টিকিটের ফটোকপি, কম্পিউটারের একটি সিপিইউ এবং ১৯টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে র‌্যাব।

সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে র‌্যাব ১১-এর সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তারদের মধ্যে রাজধানী ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত ধানসিঁড়ি ট্রাভেল এজেন্সির মালিক শাহাবুদ্দিন রয়েছে। বাকি সাতজন মধ্যপ্রাচ্যে পাচারের জন্য তার এজেন্সিতে নারী সংগ্রহের কাজ করত। তারা হলো- নৃত্যশিল্পী রিজভী হোসেন অপু, পাচারকারী চক্রের সদস্য হৃদয় আহম্মেদ কুদ্দুস, মো. মামুন, স্বপন হোসেন, মো. শিপন, মো. মুসা ও শিল্পী আক্তার।

র‌্যাব ১১-এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন বলেন, সংঘবদ্ধ এই নারী পাচারকারীদের টার্গেট ছিল ১৫ থেকে ২৫ বছর বয়সী সুন্দরী নারীরা। ধানসিঁড়ি এজেন্সির মালিকের প্রতিনিধিরা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে টার্গেট করা নারীদের বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসত। এরপর তাদের মধ্যপ্রাচ্যের নাইট ক্লাবগুলোতে নৃত্যশিল্পী হিসেবে পাচার করত। কিন্তু সেখানে নিয়ে তাদের পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হতো।

ধানসিঁড়ি এজেন্সির মালিক শাহাবুদ্দিনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের ড্যান্সবারের মালিকদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল।

গত ২৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থেকে এই চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার এবং তাদের হেফাজত থেকে চার তরুণীকে উদ্ধারের পর চক্রটি সতর্কতা অবলম্বন শুরু করে।

তারা সরাসরি তরুণীদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পাচার না করে দেশের অন্য বিমানবন্দর ব্যবহার করে পাচার শুরু করে। এ ছাড়া সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে না পাঠিয়ে আগে ভারতে পাঠানো হতো। সেখান থেকে পাঠানো হতো মধ্যপ্রাচ্যে।

এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে সুন্দরী নারী শ্রমিক, তালাকপ্রাপ্ত ও পারিবারিক সমস্যার শিকার তরুণীদের টার্গেট করে নাচ শিখিয়ে বিদেশের ড্যান্সবারে উচ্চ বেতনে চাকরি দেওয়ার নামে পাচার করে থাকে।

গত দুই বছরে এই চক্রটি পনেরো থেকে পঁচিশ বছর বয়সের সহস্রাধিক তরুণীকে বিদেশে পাচার করেছে বলে প্রাথমিকভাবে র‌্যাবের কাছে স্বীকার করেছে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com