আপডেট

x

আত্মসমর্পণ করেছে ৩০জন গডফাদার সহ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | ২:৪৯ অপরাহ্ণ |

আত্মসমর্পণ করেছে ৩০জন গডফাদার সহ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী
Spread the love

দোষ স্বীকার করে কক্সবাজারের টেকনাফের ১০২ জন ইয়াবা গডফাদার ও ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। এর মধ্যে ৩০ জন গডফাদার ও ৭২ জন ইয়াবা ব্যবসায়ী রয়েছেন। পুলিশের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ আজ শনিবার সকালে আত্মসমর্পণ করেন তারা।
যে ৩০ ইয়াবা গডফাদার আত্মসমর্পণ করেন, তারা হলেন—সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুর শুক্কুর, আবদুল আমিন, শফিকুল ইসলাম শফিক, ফয়সাল রহমান, বদির ভাগনে সেহেদ রহমান নিপু, বদির ভাগনে পৌর কাউন্সিলর নুরুল বশর নুরশাদ, বদির বেয়াই সাহেদ কামাল, বদির ফুপাতো ভাইয়ের ছেলে কামরুল হাসান রাশেল।

হ্নীলার নুরুর হুদা মেম্বার, টেকনাফ উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আলমের ছেলে দিদার মিয়া, ডেইল পাড়ার দুই সহোদর আবদুল আমিন ও নুরুল আমিন, এনামূল হক এনাম মেম্বার, একরাম মেম্বার, সৈয়দ হোসেন মেম্বার, সাবারংয়ের মৌলভি বশির আহম্মদ, পল্লানপাড়ার শাহ আলম, জালিয়াপাড়ার মোজাম্মেল হক ও জুবায়ের হোসেন, নজিরপাড়ার আবদুর রহমান, ইয়াবা ডন সাইফুর করিমের দুই শ্যালক গুদারবিলের জিয়াউর রহমান ও আবদুর রহমান।
হ্নীলা বাজার পাড়ার মোহাম্মদ শাহ, পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, পৌর এলাকার মারুফ বিন খলিল বাবু, মোহাম্মদ ইউনুস, হ্নীলার সৈয়দ হোসেন সৈয়দু, জামাল মেম্বার, শাহাপরীর দ্বীপের রেজাউল করিম রেজু মেম্বার ও হাসান আবদুল্লাহ।
এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং জেলা বিশেষ শাখা, কক্সবাজারের তালিকাভুক্ত ৬৭ জন মাদক ব্যবসায়ী জেলা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

webnewsdesign.com

আত্মসমর্পণের আগে পুলিশ ও সরকারের পক্ষ থেকে ইয়াবা ব্যবসায়ী ও গডফাদারদের কিছু শর্ত দেয়া হয়েছে। শর্তগুলো হলো-

# নিজের হেফাজতে থাকা সকল ইয়াবা ও অবৈধ অস্ত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

# আত্মসমর্পণের আগে দায়ের হওয়া মামলা ও বিচার কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

# ইয়াবা ব্যবসায় নিজের/পরিবারের সদস্য বা আত্মীয়-স্বজনের নামে-বেনামে অর্জিত সকল সম্পদ দুদক, সিআইডির মানি লন্ডারিং শাখা ও এনবিআরের মাধ্যমে যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

# আত্মসমর্পণ প্রক্রিয়ায় দায়ের হওয়া মামলায় সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে সহায়তা প্রদান করা হবে।

# যে সকল মাদক ব্যবসায়ী এখনো সক্রিয় তাদের ব্যাপারে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে হবে।

# আইনি পক্রিয়ায় মুক্ত হলে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার পাশাপাশি নিজ নিজ এলাকায় মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড করতে হবে।

# ভবিষ্যতে কখনো মাদক ব্যবসা সংক্রান্ত অপরাধে জড়িত হওয়া যাবে না।

সূত্র: পরিবর্তন ডটকম

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com