আজ ৬ ডিসেম্বর পূর্বাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর দখল থেকে মুক্ত করে মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহম্মেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজের পতাকা উত্তোলন করেন।
একাত্তরে স্বাধীনতা যুদ্ধে আখাউড়া ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম রণাঙ্গন। ভারতের ত্রিপুরা সীমান্তঘেঁষা হওয়ায় মুক্তি বাহিনীর সঙ্গে আখাউড়ায় পাক সেনাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এই রণাঙ্গনেই ১৮ এপ্রিল পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হয়েছেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মো. মোস্তফা কামালসহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধা। সভ্রম হারিয়েছে শত শত নারী।
২৩ আগস্ট রাজাকারদের সহযোগিতায় পাকিস্তানি বাহিনী আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগরে চালায় গণহত্যা। ওইদিন একই গ্রামের ২৭জনসহ ৩৩ জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে এস ফোর্সের প্রায় দুই বিগ্রেড সৈন্য আখাউড়া রেলস্টেশনে অবস্থান নেয়। এ সময় রেলস্টেশনের যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর প্রায় দুই শতাধিক সেনা হতাহত হয়। মুক্তি বাহিনীর লে. কর্নেল বদিউজ্জামানসহ অনেকেই এই রণাঙ্গণে শহীদ হন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা আখাউড়া অঞ্চল ৬ ডিসেম্বর সম্পূর্ণ হানাদার মুক্ত করেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন