মৃত্যুর ২৩দিন পর হত্যার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আল মাসুদ সিকদার সজল ওরফে সজল সিকদার (৪৬) নামের এক ব্যক্তির মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (১৪ আগষ্ট) দুপুরে উপজেলার সোহাগপুর আতকাপাড়া কবরস্থান থেকে তার মরদেহটি ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উত্তোলন করা হয়। সজল সিকদার উপজেলার সোনারাপুরের মৃত মোস্তাফা আলী সিকদারের ছেলে এবং আশুগঞ্জ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা সারমিন ও থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজাদ রহমান জানান, সজল সিকদারের পরিবারের সদস্যদের সাথে তার আপন ভগ্নিপতি মার্সাল সিকদার ও তার ভাই বাবুল সিকদারের সাথে সম্পদ নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে মাস দেড়েক আগে দুই পরিবারের মাঝে সংঘর্ষ হয়। এসময় সজল সিকদার আহত হয়েছিলেন। পাশাপাশি তার কিডনি ও লাংয়ে সমস্যা ছিল। তাই তাকে দ্রুত ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। মারামারির ঘটনায় সজল সিকদারের ভাই খোকন সিকদার বাদি হয়ে ভগ্নিপতি মার্সাল সিকদার ও তার ভাই বাবুল সিকদার সহ আরও কয়েকজনকে আসামী করে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এরই মাঝে সজল সিকদার চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২২ জুলাই মারা গেলে কবর দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, আদালতের নির্দেশে গত ১ আগস্ট মামলা থানায় নথিভুক্ত করা হয়। দায়ের করা মামলায় সজল সিকদারকে হত্যার অভিযোগে তুলে ৩০২ ধারা যুক্ত করতে আদালতে আবেদন করেন বাদি খোকন সিকদার। পরে আদালতের নির্দেশে সজল সিকদারের মরদেহ একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়। ময়নাতদন্তে প্রমাণিত হলে ওই মামলায় হত্যার জন্যে ৩০২ ধারা যুক্ত করা হবে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন