ঢাকা-চট্রগ্রাম ও চট্রগ্রাম-সিলেট রেলপথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার মন্দভাগে চট্রগ্রাম গামী উদয়ন এক্সপ্রেস ও ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস ট্রেন মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা নিহত হয়েছে ১৬জন। আহত হয়েছে শতাধিক।
আহতদের চিকিৎসা দিতে উদ্ধার করে নেওয়া হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কসবা ও আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
এই দূর্ঘটনার বিষয়ে কসবার মন্দবাগ রেল স্টেশনের মাস্টার জাকির হোসেন চৌধুরী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তূর্ণার চালক তথা লোকো মাস্টারকে ট্রেন থামানোর জন্য আউটার ও হোম দুই স্থানেই লাল বাতি সংকেত দেওয়া হয়েছিল। কিন্ত চালক ট্রেন দাঁড় করাননি বলেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তুর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ভোর ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর চট্রগ্রামের সাথে ৮ঘন্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকে।
যাত্রীদের সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী উদয়ন মন্দবাগ লুপ লাইনে প্রবেশ করছিলো। এ সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তুর্ণা এক্সপ্রেস উদয়নের শেষের ৩কোচকে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনার পর পরই আশপাশের গ্রাম থেকে মানুষজন ছুটে আসে। পরে উদ্ধার কাজ চালায় দমকল বাহিনীর সদস্যরা ছাড়াও বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। উদ্ধারে লাকসাম থেকে আনা হয় দুইটি ক্রেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন