আপডেট

x

দুর্ধর্ষ আলমগীর: দুই হত্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে আইডি কার্ডে করে নাম পরিবর্তন

রবিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২২ | ৯:৪৪ অপরাহ্ণ |

দুর্ধর্ষ আলমগীর: দুই হত্যা মামলা থেকে রক্ষা পেতে আইডি কার্ডে করে নাম পরিবর্তন
Spread the love

দুটি হত্যা মামলায় আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন (৩১)। এরমধ্যে সে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। এসব হত্যা মামলা ও যাবজ্জীবন সাজা থেকে বাঁচতে নিজের নাম-ঠিকানা পরিবর্তন করে আলমগীর। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে ৭ বছর পলাতক থাকার পর গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের থলিয়ারা থেকে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আলমগীর সদর উপজেলার নাটাই উত্তর এলাকার আলাউদ্দিনের ছেলে।

এই বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্প।

webnewsdesign.com

এসময় র‍্যাব-১৪ ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের জানান, ২০১৫ সালে মার্চ মাসে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজের একদিন পর বিজয়নগরের বিষ্ণুপুরে ধান ক্ষেতে মিলে সিএনজি চালক উজ্জ্বলের মরদেহ। পরে পুলিশের তদন্তে জানা যায়, উজ্জ্বলের সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল আলমগীর হোসেন ওরফে শাহীন। উজ্জ্বলের সিএনজিটি ছিনিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আলমগীর তার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলে এবং হত্যার পর সিএনজিটি নিয়ে যায়। এই হত্যা মামলার পলাতক আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন।

এই ঘটনার একমাস পর একই বছর ২১ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বোল্লা টানপাড়া ব্রিজের নিচ থেকে সিএনজি চালক সোহরাবের হাত বাধা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে পুলিশি তদন্তে এই হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটিত হয়। তদন্তে জানা যায়, যাত্রী বেশে সিএনজিতে উঠে সোহরাবকে হত্যা করে আলমগীর। পরে সিএনজিটি ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত আসামী আলমগীর হোসেন ওরফে শাহীন।

এসব ঘটনায় পলাতক আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন যাবজ্জীবন সাজা ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে চলতি বছরের জুলাই মাসে নিজের নাম পরিবর্তন করে আল আমিন নাম ব্যবহার করে নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। সেখানে তার ঠিকানা নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হিসেবে উল্লেখ করে। র‍্যাবের তদন্তে আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন নামে কোন তথ্য নির্বাচন কমিশনে পায়নি। পরে আলমগীর মাদকের একটি মামলায় জেলে ছিল। জেলখানায় নথি থেকে আলমগীর হোসেন ওরফে শাহিন নাম ও ছবি পাওয়া গেলে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com