আপডেট

x

চূর্ণ পাথর আমদানির কাগজে ভারত থেকে আনলো ধূলো

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ৯:৩১ অপরাহ্ণ |

চূর্ণ পাথর আমদানির কাগজে ভারত থেকে আনলো ধূলো
Spread the love

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে চূর্ণ পাথরের বদলে আমদানি করা হয়েছে পাথরের ধূলো ( ডাস্ট)। ফলে কাস্টমস থেকে ছাত্রপত্র না দেওয়া স্থলবন্দরে এক মাস ধরে পড়ে রয়েছে ২ হাজার ৭শত টন পাথরের ধূলা। এই ঘটনায় কাস্টমস থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে অভিযোগের সত্যতা মেলে। কাস্টমস থেকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ভারতীয় ঠিকাদারী কোম্পানি এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড ও বন্দরের সিএনএফ এজেন্ট মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজকে আগামী ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর রফতানিমুখী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো চূর্ণ পাথর ঘোষণা দিয়ে আমদানি করা হয়। এরপর কয়েক দফায় মোট ২হাজার ৭০০ টন আমদানি করে ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এফকনস ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানটি আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করার কাজের জন্য পাথর আমদানি করেছে।

webnewsdesign.com

আমদানি করা চূর্ণপাথরগুলো প্রতি টন আমদানি হয়েছে ১৩ মার্কিন ডলারে। এগুলো বন্দর থেকে ছাড়ানোর কাজ পায় আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজলের মালিকানাধীন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট খলিফা এন্টারপ্রাইজ। প্রথমবারের মতো আমদানি হওয়ায় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ছাড়পত্র দেওয়ার কথা জানায় কাস্টমস। পরবর্তীতে এগুলো পরীক্ষা করে জানা যায় মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ভারত থেকে পাথরের বদলে ডাস্ট আনা হয়েছে। স্থলবন্দরে আটকে দেওয়া হয় ডাস্ট গুলো। বন্দরে গত একমাস ধরে পড়ে রয়েছে ২ হাজার ৭০০ টন ডাস্ট। ফলে প্রতিদিনই বন্দর কর্তৃপক্ষকে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মাশুল বাবদ দিতে হচ্ছে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা।

মেসার্স খলিফা এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা প্রথম দফায় পাথর আনার পর, বলা হয়েছিল সব গুলো পাথর আনার অনুমতি দেওয়া হবে। এখন বলা হচ্ছে এ ধরনের পাথরের অনুমতি নেই। এখন পাথর আটকে থাকায় আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি।

তবে আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, তারা চূর্ণ পাথর আমদানি করার কথা ছিল। কিন্তু আমরা তদন্ত করে আমদানি করা পণ্য ডাস্ট হিসেবে পেয়েছি। এ ধরনের পণ্য এই স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করার অনুমতি নেই। তাদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। যথাযথ উত্তর না পাওয়া গেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com