আপডেট

x

সরাইলে খাল ভরাট করতে গিয়ে তোপের মুখে ইউপি সদস্য

রবিবার, ০৭ জুন ২০২০ | ৩:০২ পূর্বাহ্ণ |

সরাইলে খাল ভরাট করতে গিয়ে তোপের মুখে ইউপি সদস্য
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সরকারি খাল অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিনে বালি ভরাট করতে গিয়ে গ্রামবাসীর তোপের মুখে পড়েছেন এক ইউপি সদস্য। এসময়ে স্থানীয় বাসিন্দারা সেই ইউপি সদস্যের উপর চড়াও হলে সরকারি জায়গা দখল ও ভরাট কার্যক্রম থেকে পিছু হটেন তিনি।

শনিবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

webnewsdesign.com

স্থানীয়রা জানান, কালিকচ্ছ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু তালেবের নেতৃত্বে কিছু প্রভাবশালী লোক বিশুতারা গ্রামের সরকারি বিশাল খাল অবৈধ ভাবে দখলের পর এটি বালি দিয়ে ভরাট করার উদ্দেশ্যে ড্রেজার মেশিনের পাইপ স্থাপন করেন। এর প্রথম দিকে গ্রামবাসী বাধা দিলে ইউপি সদস্য প্রভাব খাটিয়ে সরকারি জায়গা দখল ও ভরাটের কার্যক্রম চালিয়ে যান। পরে স্থানীয় বাসিন্দারা জমায়েত হয়ে মেম্বারের উপর চড়াও হলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কয়েকজন সংবাদকর্মী ঘটনাস্থলে গেলে ইউপি সদস্য আবু তালেব সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা সুর পাল্টে ফেলেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশুতারা-কালিকচ্ছ এলাকার সরকারি খালের বিশুতারা গ্রামের বিশাল অংশ ভরাট করতে ড্রেজার মেশিনের শ’ শ’ ফুট লম্বা পাইপ স্থাপন করেন ইউপি সদস্য আবু তালেব সহ সহযোগিতারা। তারা এই সরকারি খাল বালি ফেলে ভরাট করতে পাশেই ফসলি মাঠের একটি জমিতে ড্রেজার মেশিন স্থাপন করেন। রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করায় ইউপি সদস্য আবু তালেবের ওপর গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়।

বিশুতারা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. তোফাজ্জল ইসলাম বলেন, আবু তালেব জনগণের ভোটে নির্বাচিত একজন জনপ্রতিনিধি। তিনি সরকারের গেজেটভুক্ত লোক হয়ে সরকারি খাল প্রভাব খাটিয়ে অবৈধপন্থায় দখল করতে চায়। তাই গ্রামের লোকজন তার (ইউপি সদস্য) উপর চড়াও হয়েছে। এই ধরনের দখলদার জনপ্রতিনিধির অপসারণ চায় গ্রামবাসী।

এ ব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ইউপি সদস্য আবু তালেব সাংবাদিকদের বলেন, এই খালের সবদিকই দখল ও ভরাট হয়ে গেছে আগেই। এইটুকু অংশ বাকি আছে, তাই আমাদের ঘরবাড়ির মানুষের চলাচলের স্বার্থে সরকারি খালের এই অংশ ভরাট করতে চেয়েছিলাম। যেহেতু বাধা পড়েছে, তাই আর ভরাট করবো না। সরকারি খাল বা পানি নিষ্কাশনের জায়গা দখল ও ভরাট দু’টিই গুরুতর অপরাধ বলে এই ইউপি সদস্য স্বীকারও করেন।

জানতে চাইলে শনিবার রাতে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা প্রিয়াংকা বলেন, কোনোভাবেই ওই খাল ভরাট করতে দেওয়া হবে না। সরেজমিন গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মোসা জানান, একজন জনপ্রতিনিধি হয়ে সরকারি খাল দখল ও ভরাট করতে গেছেন, বিষয়টি শুনে আমি আশ্চর্য হলাম। ইউএনও জানান, সরকারি এক ইঞ্চি মাটিও অবৈধভাবে কাউকে দখল করতে দেওয়া হবে না।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com