ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মাদক পাচারকালে লুটপাট করে নেওয়ার ঘটনায় এখনো কেউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এবিষয়ে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় সরেজমিনে তদন্তে করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সত্যতা পেলেও ওসি বলছেন ভিন্ন কথা।
গত সোমবার ১৮মে উপজেলার কুট্রাপাড়া এলাকায় বিপুল পরিমাণ ইয়াবা লুটে নেওয়ার ঘটনা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্রাপাড়ার একাধিক ব্যক্তি জানায়, গত সোমবার (১৮মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে একজন ব্যক্তি একটি ব্যাগ নিয়ে দৌড়িয়ে পালাচ্ছিলেন। লোকটিকে অনেক বিচলিত মনে হচ্ছিল। এসময় স্থানীয় ইমান আলীর ছেলে আমির আলী লোকটিকে আটক করে। আটকের পর লোকটির দেহ ও ব্যাগ তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা ট্যাবলেট পায়। এর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৮থেকে ১০লক্ষ টাকা হতে পারে। এই ট্যাবলেট গুলো আমির আলী রেখে দিয়ে লোকটিকে ছেড়ে দেন। ঘটনার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সরাইল থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খলিলুর রহমানের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে। সেখানে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এর সত্যতা পান তিনি।
এই বিষয়ে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খলিলুর রহমান বলেন, ‘ওসি সাহেব বলার পর আমি ওই এলাকায় গিয়েছিলাম। স্থানীয়রা বলেছেন, ওই ব্যক্তি থেকে নাকি আমির আলীর মাদক গুলো রেখেছেন। এর সত্যতা পেয়েছি, তদন্ত চলছে।’ এই ঘটনায় আমির আলীকে গ্রেফতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এএসআই খলিল বলেন, ‘ এটা স্যারের (ওসি) সাথে কথা বলছে, এটা স্যার জানেন।’
সরাইলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমেদের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মাদক লুটপাটের তথ্য পেয়েছিলাম কিন্তু এই ঘটনার কোন সত্যতা আমরা পাইনি। এই ঘটনা আমরা যাচাই-বাছাই করছি। সেখানকার লোকজন জানিয়েছে, যার ব্যাগ তাকে দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ তবে এএসআই খলিল ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পাওয়ার কথা জানিয়েছেন, এই প্রশ্ন ওসিকে করা হলে তিনি তখন আবার উত্তরে বলেন, মাদক পাওয়া গেলে গ্রেফতার করা কথা। আমি তাকে (এএসআই খলিল) বলেছি সত্যতা পেলে গ্রেফতার করবা। যার কাছ থেকে মাদকগুলো পাব তাকেই গ্রেফতার করব। মাদক নিয়ে কোন ছাড় নয়।
রাফি///—
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন