১৫ আগষ্টের কালো রাতে ঘাতকদের হাতে নিমর্মভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ পুরো পরিবার। শুধু তাই নয় ছাড় দিতে চাননি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও। ২১শে আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিমর্মভাবে হত্যার করার পরিকল্পনাও করা হয়েছিল। তবে দেশ ও জাতির উন্নয়নে মহান রাব্বুল আলামিন মমতাময়ী নেত্রী শেখ হাসিনাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। পরিবার হারানোর বেদনা ভুলে গিয়ে নিজের জানকে বাঁজি রেখে দিন-রাত এক করে মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছেন প্রিয় মমতাময়ী নারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তাই মহান রাব্বুল আলামিনের নিকট প্রিয় নেত্রী, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া কামনা করি তিনি যেন নেক হায়াত আমার নেত্রীকে দান করুক। তিনি এভাবেই সর্বদা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে পারেন।
মরতে তো একদিন সকলকেই হবে তবে ১৯৮৪ সালের একটি কালো রাত ছিল আমাদের জীবনেও। দেশের জন্য লড়াই করেছেন আমার বাবা। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। শুধু তাই নয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডে মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন আমার বাবা। শ্রমিক নেতা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তবে তার প্রতি ঈর্শ্বানিত হয়ে এক দল ঘাতক-দুস্কৃতিকারী সুযোগ বুঝে সেই রাতে আমার বাবাকে মেরে ফেলেছে সেই দুস্কৃতিকারীরা। তখন বাবাকে বাঁচানো মতো পাশে কেউই ছিল না।
২০১৪ সালের মে মাসে আমাকে হত্যা করতে স্থানীয় বিএনপির ১৫ থেকে ২০জন সন্ত্রাসী হামলা করেছিল। আল্লাহতালা আমাকে সকলের দোয়ায় বাঁচিয়ে রেখেছেন। কিন্তু ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে আমি গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিতে হয়েছিল। তখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল স্যার ও তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী পঙ্গু হাসপাতালে আমাকে দেখতে যান। সেই সময় আমার প্রিয় অভিভাবক মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয়ের সহ সকলের সার্বিক সহযোগিতা করেন আল্লাহ তা’য়ালার অশেষ রহমতে আমি বেঁচে ফিরেছিলাম। আমি আহত হওয়ার আগে ও পরে আমি শতভাগ চেষ্টা করেছি আমার পিতৃতুল্য অভিভাবক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির দিকনির্দেশনা মতো চলতে। সামনের দিনগুলোতে আমার অভিভাবকের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী এগিয়ে যেতে পারি, আল্লাহতালা আমাকে যেন সেই তাওফিক দান করেন।
মনে ইচ্ছে ছিল বাবার মতো আমিও জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষে কল্যাণে কাজ করে যাব। আল্লাহ তা’য়ালা হয়তো একজন মানুষের প্রকৃত ও সৎ ইচ্ছা থাকলে তার দিকে মুখ তুলে তাকান। এভাবেই হয়তো আমার জনপ্রতিনিধি হয়ে মানুষের সেবা করার ইচ্ছেটাও মহান রাব্বুল আলামিনের পরম করুনায় পূরণ হয়ে গেল। আগামীতেও মানুষের সেবা করার তৌফিক মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাকে দান করবেন (আমিন)। আমি যেন সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জনসেবা করে যেতে পারি, সবাই দোয়া করবেন।
মো. মহসিন খন্দকার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী
বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য
( এই লেখা লেখকের ব্যক্তিগত অভিমত। এর সকল দায়-দায়িত্ব লেখকের। দৈনিক সরোদ পরিবারের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই)
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন