নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন জাসিন্ডা অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন । আগামী গ্রীষ্মেই সঙ্গী ক্লার্ক গেফোর্ডের সঙ্গে গাঁটছড়া বাধবেন তিনি। বুধবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো এই খবর নিশ্চিত করেছেন।
৪০ বছর বয়সী জাসিন্ডা এবং ৪৪ বছর বয়সী ক্লার্ক ২০১৯ সালের ইস্টার হলিডেতে বাগদান সেরেছিলেন। তাদের দু’বছরের একটি মেয়েও রয়েছে।
নিউজিল্যান্ড হেরাল্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা এবং টিভি উপস্থাপক ক্লার্ক অবশেষে বিয়ে করার মতো একটি দিন ঠিক করতে পেরেছেন বলে জানিয়েছে কোস্ট রেডিও।
জাসিন্ডার উদ্ধৃতি দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এর অর্থ এটি নয় যে, বিষয়টি আমরা কাউকে জানিয়েছি। তাই আমার মনে হয়, আগে কিছু মানুষকে আমাদের নিমন্ত্রণ করা উচিত।’
দক্ষিণ গোলার্ধে সাধারণত ডিসেম্বরের থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল থাকে। অর্থাৎ ওই তিনমাসের মধ্যেই বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী।
সংবাদমাধ্যমের খবরে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, এই বিয়ে সম্ভবত ঐতিহ্যবাহী নিয়মে হবে না। জাসিন্ডা মনে করেন, বিয়ের পার্টি করার মতো বয়স তার আর নেই।
বিয়ের খবরের বিষয়ে নিউজিল্যান্ড প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘সকালে যে খবর বেরিয়েছে, তার চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।’
২০১৭ সালে নিউজিল্যান্ডের কনিষ্ঠতম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বগ্রহণ করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান জাসিন্ডা আরডার্ন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দায়িত্বপালন করা হাতেগোনা কয়েকজন নির্বাচিত সরকারপ্রধানের মধ্যেও তিনি অন্যতম।
২০১৯ সালে ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলা পরবর্তী বিভিন্ন উদ্যোগ এবং সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ব্যাপক সাফল্য দেখিয়ে বিশ্ববাসীর ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছেন জাসিন্ডা। গত অক্টোবরের নির্বাচনে মধ্য-বামপন্থী লেবার পার্টির ইতিহাসে বৃহত্তম জয় নিয়ে আবারও ক্ষমতায় বসেছেন জনপ্রিয় এ নেতা।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন