মরণব্যাধি করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে সচেতনতা নিয়ে যখন সারাদেশের মানুষ যখন সরকারি নির্দেশনা মেনে চলে দিন যাপন করছেন, সেই মূহুর্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে অসাধু কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতা আঁতাত করে সরকারি বিশাল জায়গা দখল করার পায়তারা করছে। সেখানে ড্রেজার মেশিনে বালু ফেলে ভরাট করছে প্রভাবশালী দখলদাররা।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিন দেখা যায়, সরাইল-অরুয়াইল আঞ্চলিক সড়কের পাশে সরকারি খাল ও পানি নিষ্কাশনের নালায় বালু ফেলে ভরাট করা হচ্ছে। উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের বিশুতারা এলাকায় এই অবৈধ দখল ও ভরাটের রামরাজত্ব চলছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব ও তাঁর ভাইয়ের সহযোগিতায় এ ভরাটের কাজ চলছে। সরকারি এ বিশাল জায়গা ভরাটের পর সেখানে প্লট আকারে বিক্রয় করার পরিকল্পনা নিয়েছে দখলদাররা, একথা জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আবু তালেব দাবি করে বলেন, সেই সরকারি জায়গা ভরাটের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সেখানে সরকারি জায়গার পাশে মালিকানা জায়গাও রয়েছে। ইউপি সদস্য জানান, সেই জায়গার মালিকেরা কয়েকদিন আগে সরকারি জায়গার পাশাপাশি তাদের জায়গা ভরাটের ব্যাপারে তাঁর সঙ্গে আলাপ করলেও তিনি সম্মতি দেননি।
স্থানীয় লোকজন জানান, করোনা প্রতিরোধে সচেতনতায় উপজেলা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা যখন ব্যস্ত সময় পার করছেন এবং সাধারণ ছুটিতে সরকারি দফতর বন্ধ থাকার সুযোগে প্রভাবশালী দখলদাররা এখানে অবৈধভাবে বালু ফেলে ভরাট করছে।
এদিকে দখলদারদের মধ্যে দুইজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সেখানে খালের পাড়ে আমাদের মালিকানা কৃষি জমি রয়েছে। সামনের সরকারি জায়গা ভরাট ছাড়া সেখানে ঘরবাড়ি নির্মাণ সম্ভব নয়। তাই আমরা কতিপয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে চুক্তি করেই এখানে ভরাটের ব্যবস্থা করেছি। তাঁরা (নেতারা) বলে দিয়েছেন “করোনায় সরকারি বন্ধ থাকার সুযোগে এখানে ভরাটের কাজ শেষ করতে। প্রশাসন ও সাংবাদিক তাঁরা সামলাবেন। তাই আমরা ড্রেজার মেশিনে রাত-দিন চালু রেখে ভরাটের উদ্যোগ নিয়েছি।
জানতে চাইলে কালিকচ্ছ ইউনিয়ন ভূমি অফিসার আমিনুল ইসলাম জানান, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। প্রয়োজনে এই ঘটনায় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে মামলা দায়ের করা হবে।
আরিফ//–
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন