আপডেট

x

কবি আল মাহমুদের ৮৩তম জন্মদিন আজ

বুধবার, ১১ জুলাই ২০১৮ | ৩:১৬ অপরাহ্ণ |

কবি আল মাহমুদের ৮৩তম জন্মদিন আজ
কবি আল মাহমুদ
Spread the love

বাংলা কবিতা যাঁদের হাত ধরে আধুনিকতায় পৌঁছেছে, কবি আল মাহমুদ তাঁদের অগ্রগণ্য। যেন ঐশ্বরিক ক্ষমতা রয়েছে তাঁর কলমের কালিতে। আল মাহমুদের কলম বাংলা সাহিত্যকে করেছে আরো উর্বর। সাহিত্যের সকল শাখাতেই তাঁর সমান পদচারণা। তাঁর লেখনীর ব্যতিক্রম স্বাদের জন্য তিনি বারবার আলোচিত হয়েছেন। হয়েছেন অসংখ্যবার পুরস্কৃত।

১১ জুলাই, ১৯৩৬। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মৌড়াইল গ্রামে প্রবল বর্ষণের এক রাতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান কবি আল মাহমুদ। আজ ১১ জুলাই, ২০১৫, কবি আল মাহমুদের ৮০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৩০-এর কবিদের হাতে বাংলা কবিতায় যে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে, তার সাফল্যের ঝাণ্ডা আল মাহমুদ বিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে অদ্যাবধি কৃতিত্বের সঙ্গে বহন করে চলেছেন। বাংলা কবিতার মাস্তুল পশ্চিমের দিকে ঘুরিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি। পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট লেখক, সমালোচক শিবনারায়ণ রায় বলেছিলেন, বাংলা কবিতায় নতুন সম্ভাবনা এনেছেন আল মাহমুদ, পশ্চিম বাংলার কবিরা যা পারেনি তিনি সেই অসাধ্য সাধন করেছেন।

webnewsdesign.com

এক নজরে আল মাহমুদ : ব্যক্তিগত জীবন: পুরো নাম : মীর আবদুস শাকুর আল মাহমুদ জন্ম : ১১ জুলাই ১৯৩৬, মোল্লাবাড়ি, মৌড়াইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিতা : আব্দুর রব মীর মাতা : রৌশন আরা বেগম স্ত্রী : সৈয়দা নাদিরা বেগম সন্তান : পাঁচ পুত্র, তিন কন্যা উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : কবিতা : লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালী কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, প্রহরান্তরের পাশ ফেরা, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, মিথ্যেবাদী রাখাল, আমি দূরগামী, বখতিয়ারের ঘোড়া, দ্বিতীয় ভাঙন, নদীর ভেতর নদী, উড়াল কাব্য ইত্যাদি। ছোট গল্প : পানকৌড়ির রক্ত, সৌরভের কাছে পরাজিত, গন্ধবনিক, ময়ূরীর মুখ, নীল নাকফুল ইত্যাদি। উপন্যাস : কাবিলের বোন, উপমহাদেশ, চেহারার চতুরঙ্গ, নিশিন্দা নারী ইত্যাদি। শিশুতোষ : পাখির কাছে ফুলের কাছে প্রবন্ধ : কবির আত্মবিশ্বাস, কবির সৃজন বেদন, আল মাহমুদের প্রবন্ধ সমগ্র ভ্রমণ : কবিতার জন্য বহুদূর, কবিতার জন্য সাত সমুদ্র

পুরস্কার

বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬৮), জয়বাংলা পুরস্কার (১৯৭২), হুমায়ুন কবির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৭৪), সুফী মোতাহের হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক (১৯৭৬), ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৬), একুশে পদক (১৯৮৭), নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৯০), সমান্তরাল (ভারত) কর্তৃক ভানুসিংহ সম্মাননা পদক-২০০৪ ইত্যাদি। আল মাহমুদ কেবল সাহিত্যসেবীই নন। মাটি ও মানুষের অধিকারের কথা বলেছেন। ১৯৭১ সালে তিনি বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধেও অংশ নেন।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com