আপডেট

x

এবছরও রমজানের আগে খেজুরের দামে নয়ছয়

বুধবার, ১৫ মার্চ ২০২৩ | ১১:২০ অপরাহ্ণ |

এবছরও রমজানের আগে খেজুরের দামে নয়ছয়
ফাইল ছবি
Spread the love

কয়েকদিন পরই শুরু হবে পবিত্র মাহে রমজান। রোজার ইফতার সামগ্রীর দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যায়। প্রতিবারের মতো এবারও এর ব্যত্যয় নেই।  এরইমধ্যে ইফতারের খেজুরের দাম কার্টনপ্রতি এক হাজার থেকে এক হাজার দুইশ টাকা বেড়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ফলের দোকান ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

রোজায় ইফতারে প্রায় সবাই খেজুর খান। ফলে রোজা এলেই এ পণ্যটির চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। এই সুযোগে অধিক মূল্যে খেজুর বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

webnewsdesign.com

তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এইক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা যেভাবে ক্রয় করি, সেভাবেই বিক্রি করি। আমাদের লাভের পরিমাণ খুবই কম। এখানে বরাবরই সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সুবিধা ভোগ করেন। তাছাড়া এবার ডলার সংকটের কারণেও খেজুরের দাম বেড়েছে।

এরইমধ্যে মমতাজ-মরিয়ম জাতের খেজুরের কার্টন এক হাজার ৫০০ থেকে বেড়ে দুই হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফরিদা জাতের খেজুরের কার্টন ৮০০ থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকায়। বর্তমানে ডালবারালি খেজুর ৪৫০ টাকা, বরই খেজুর ৩০০-৪০০ টাকা, দাবাস ২০০ টাকা, জিহাদি ১৮০ টাকা, কামরাঙ্গা ৪০০ টাকা, তিউনিসিয়া ৩৫০ টাকা, আজোয়া ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সর্বনিম্ন দামে যে খেজুরটি আগে কেজিপ্রতি বিক্রি হতো ৯০ টাকায় গত কয়েকদিন ধরে সেই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৪০ টাকায়।

সামিন নামে এক ক্রেতা বলেন, রমজান শুরু হতে এখনো বেশকিছু দিন বাকি। অথচ এখনই খেজুরের দাম কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। বাধ্য হয়েই বেশি দামে খেজুর কিনে নিয়ে যেতে হচ্ছে।

হারুন মিয়া নামে এক খেজুর বিক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রমজান মাসে খেজুরের চাহিদা বেশি থাকায় নানা অজুহাত দেখিয়ে খেজুরের মূল্যবৃদ্ধি করা হয়। সরকার কঠিন মনিটরিং করে না বিধায় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা নিজের মনমতো দাম বাড়ান। এবার খেজুরের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে।

গিয়াস উদ্দিন নামে আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমাদের এখনই বাড়তি দাম দিয়ে পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে খেজুর কিনতে হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই। দাম তো আমরা বৃদ্ধি করি না। বর্তমানে বাড়তি দামে খেজুর কেনার ফলে আমাদের লাভের পরিমাণ কমে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা করে আসছি, তাই কম লাভ হলেও ছাড়তে পারছি না।

শহরের ২ নম্বর এলাকার ফলপট্টিতে প্রায় ১০ বছর ধরে ব্যবসা করেন মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, আমার দোকানটিতে ১০-১২ আইটেমের ফল রয়েছে। রোজার আগে সবসময় খেজুরের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এবার চাহিদা কম থাকায় বিক্রি খুবই কম হচ্ছে।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর  সহকারী পরিচালক মো. সেলিমুজ্জামান বলেন, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। রমজান মাসেও আমাদের এই মনিটরিং অব্যাহত থাকবে। যদি কোনো ব্যবসায়ী অযৌক্তিকভাবে খেজুরের দাম বেশি রাখে আর আমাদের কাছে অভিযোগ করা হয়, তাহলে অবশ্যই সে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com