আপডেট

x

অসহায়ের তালিকায় ইউপি সচিবের নম্বর, বললেন-‘ভুলে মিসটেক হয়েছে’

রবিবার, ৩১ মে ২০২০ | ৮:৫৭ অপরাহ্ণ |

অসহায়ের তালিকায় ইউপি সচিবের নম্বর, বললেন-‘ভুলে মিসটেক হয়েছে’
Spread the love

করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে দেশে লকডাউনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে আড়াই হাজার টাকা ঈদ উপহার দিচ্ছেন। এই প্রক্রিয়া ঈদুল ফিতরের আগে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেও বিভিন্ন এলাকায় অনিয়মের অভিযোগ উঠায় যাচাই-বাছাইয়ের কারণে অনেকেই এখনো তা পায়নি। তবে এই প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ঈদ উপহার অসহায় ও দরিদ্রদের তালিকা অনুযায়ী যার যার মোবাইল নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে সহজে। কিন্তু এই সুবিধাকে গরীবের অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার হাতিয়ার বানিয়েছে অসাধু জনপ্রতিনিধি ও কতিপয় কর্মকর্তা।

webnewsdesign.com

প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়ন থেকে ১১৭১জন কর্মহীন-অসহায়ের নামের তালিকা ও টাকা পাঠাতে মোবাইল নম্বর প্রেরণ করা হয়েছে৷ সেই তালিকা ৬৮৮নম্বরে ইউনিয়নের পরমানন্দপুরের আব্দুল হামিমের ছেলে ৫০বছর বয়সের বাছির মিয়ার নাম উল্লেখ্য করা থাকলেও উপহারের টাকা আসতে দেওয়া মোবাইল নম্বরের স্থলে ইউপি সচিব আব্দুল কুদ্দুসের ০১৭১৬৮৯৩২২৭ নম্বরটি লেখা রয়েছে। ফলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী নাম দিনমজুর বাছির মিয়ার থাকলেও উপহারের টাকা পাবেন পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ সচিব আব্দুল কুদ্দুস।

এই বিষয়ে ইউপি সচিব আব্দুল কুদ্দুসের সাথে তালিকায় দেওয়া নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘তালিকা প্রণয়নের প্রথম দিকে আমরা অনেকের নম্বর পায়নি। তখন আমাদের বলা হয়েছিল, যেকোন নম্বর বসিয়ে পাঠিয়ে দিতে। পরে সংশোধন করা হবে জানিয়েছিল। তখন আমার নম্বর  হয়তো দিয়েছিলাম। এই নম্বরটি হয়তো ভুলে কোন মিসটেক হয়েছে।’

এই সচিবের এমন বক্তব্যের পর রোববার (৩১মে) ওয়াব সাইটে প্রকাশিত সংশোধিত তালিকায়ও ইউপি সচিব আব্দুল কুদ্দুসের নম্বরটি বাছির মিয়ার নামের পাশে দেখতে পাওয়া যায়।

এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন,’বিষয়টি আমি অবগত নয়। তবে ভুলে তো একজনের নম্বর হুবহু তার ইউপির তালিকায় যাওয়ার কথা না। ভুল হলে এক বা দুইটি নম্বর ভুল হতে পারে কিন্তু নিজের অজান্তে কিভাবে একটি সরকারি তালিকায় মোবাইল নম্বর যেরে পারে। আর যদি একজনের নিজের নম্বর না থাকে, সেখানে প্রয়োজনে ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নম্বর দিতে পারবে। এই তালিকা প্রণয়নের আগেই সবাইকে সচেতন করে দেওয়া হয়েছিল, যেন কোন লুকোচুরি না করা হয়।’

এবিষয়ে সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মোসা বলেন, ‘তালিকায় যদি আইডি কার্ডের সাথে নম্বর না মিলে, তাহলে ওই নম্বরে টাকা যাবে না। কিন্তু টাকা যাক আর না যাক, তার নম্বরটি অসৎ উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে। যদি তালিকায় সে (ইউপি সচিব) তার নম্বর দিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বিষয়ে কোন ছাড় নয়।’

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com