আপডেট

x

‘২০২১ সালের মার্চেই শেষ হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের কাজ’

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৫:৪৭ অপরাহ্ণ |

‘২০২১ সালের মার্চেই শেষ হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের কাজ’
Spread the love

রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন , বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংকের (বাংলাদেশ অংশ) কাজ কিছুটা পিছিয়ে গেছে।আগামী বছরের মার্চ মাসেই এর শেষ হবে।

রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংক প্রকল্প কাজ পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এই কথা জানান।

webnewsdesign.com

এসময় রেলপথ মন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, আগামী মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে গেছে। ভারতীয় কোম্পানির সামর্থ্য অনেক বেশি। আমাদের দেশের কোম্পানিগুলোর সামর্থ্য কম।

মন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের অর্থায়নে আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ হচ্ছে। এটার জন্য বাংলাদেশ সরকারের কোনো টাকা লাগছে না। এর সাথে স্টেশন ভবন এবং কাস্টমস্ ভবনসহ অন্যান্য যেসব স্থাপনা প্রয়োজন সেসব স্থাপনা নির্মান করছে।

এ সময় মন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংক (বাংলাদেশ অংশ) প্রকল্পের পরিচালক মো. সুবক্তগীন, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশি, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ শামছুজ্জামান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরে আলম প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় রেল ষ্টেশনে নির্মানাধীন ডবল লাইনের কাজ পরিদর্শন করেন।

উল্লেখ্য, ২৪০ কোটি ৯০ লাখ ৬৩ হাজার ৫০১ টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলওয়ে লিংক (বাংলাদেশ অংশ)। সম্পূর্ণ ভারত সরকারের অনুদানের টাকায় প্রকল্পের কাজ করছে ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড। সাড়ে ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের সাড়ে ছয় কিলোমিটার পড়েছে বাংলাদেশ অংশে। বাকি চার কিলোমিটার পড়েছে ভারতে। চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারী প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুম ও করোনাভাইরাসের কারণে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সেজন্য প্রথম দফায় চলতি বছরের ১৩ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও কাজের অগ্রগতি বিবেচনায় দ্বিতীয় দফায় আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com