আপডেট

x

স্ত্রী-৪ সন্তান রেখে প্রতিবন্ধীকে প্রতারণা করে বিয়ে, ধরা পড়ে অবশেষে পলাতক(ভিডিও)

রবিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৯:৪৭ অপরাহ্ণ |

Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের পত্তন ইউনিয়নের আতকাপাড়ার দিনমজুর আবেদ মিয়া (ছদ্মনাম)। অভাবের তাড়নায় স্ত্রী ও ৫ সন্তান সহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে দক্ষিণ পৈরতলায় ভাড়া বাসা নিয়ে থেকে কাজ করে চলছেন। তার সব সন্তানদের মধ্যে সবার বড় মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। তারপরও দিনমজুরের কাজ করে অনেকটা সুখেই চলছিল তার সংসার।

এরই মাঝে প্রতিবেশি এক নারী এসে আবেদ মিয়াকে জানায়, ‘একটি ছেলে আশ্র‍য় খুঁজে বেড়াচ্ছে। তার মা-বাবা কেউ নেই, অসহায়-এতিম।’ আবেদ মিয়া এই কথা জেনে ভাবলেন, ছেলেটিকে আশ্রয় দিবেন। ওই নারী তাকে পরামর্শ দিয়ে বললেন, ‘তোমার বড় মেয়ে যেহেতু বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী, তাকে তো অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে পারবে না। এই ছেলেটির কাছে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়ে নিজ বাড়িতেই রেখে দাও।’ আবেদ মিয়াও তার কথায় রাজি হলেন। নিজের মেয়েটিকে হুজুরের মাধ্যমে কাবিন ছাড়া বিয়ে দিলেন রফিক মিয়া নামের ছেলেটির কাছে। বিয়ে দেওয়ার পর মেয়ের জামাই রফিককে ৫০হাজার টাকা সুদের উপর এনে দিলেন একটি ব্যাটারি চালিত রিকশা ক্রয় করে দেন যেন চালিয়ে কর্ম করে চলতে পারে। কিন্তু রফিক সেই টাকা থেকে কিছু টাকা খরচ করে ফেললেন। আবেদ মিয়া আবার আরও ১০হাজার টাকা ব্যবস্থা করে দিলেন। তারপরও সে রিকশা ক্রয় করলেন না।

webnewsdesign.com

এর কিছুদিন পর আবেদ মিয়া জানতে পারেন, মেয়ের জামাতা রফিকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরের ভান্ডুসার গ্রামে। তার মা-বাবা, স্ত্রী ও চার কন্যা সন্তান রয়েছে। এই কথা জেনে তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। পরিবারের আত্মীয়-স্বজন নিয়ে রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে এক পর্যায়ে সে সব কিছু স্বীকার করেন। খবর দেওয়া হয় প্রতারক জামাই রফিকের পরিবারে। তার পরিবার থেকে রফিকের মা ও ভাই আসেন আবেদের বাসায়। তারা রফিককে নিয়ে যায় বিষয়টি মিমাংসার কথা বলে। এরপর থেকে আর পাত্তা নেই রফিক ও তার পরিবারের কারও। এই ঘটনায় গত ৩ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আবেদের স্ত্রী বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আসামী করা হয়েছে ৬জনকে। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)কে।

আবেদ মিয়া (ছদ্মনাম) বলেন, ‘আমি নিজের ছেলে ভেবে রফিককে আশ্রয় দিয়েছিলাম। সে যাওয়ার আগে ভিডিওতে রেকর্ডে সব স্বীকার করেছে। মেয়েটি এমনিতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। এই ঘটনায় সে আরও ভেঙে পড়েছে। এক প্রতিবন্ধী, আবার সে প্রতারণার শিকার হয়েছে। আমি এর বিচার চাই।’

এক ভিডিও রেকর্ডে দেখা যায়, প্রতারক রফিক সব দোষ স্বীকার করেন বলছেন, বাড়িতে রাগ করে বের হয়ে এসেছিলেন। তার শ্বশুর বাড়ি নবীনগরের নাটঘর ইউনিয়নের খড়িয়ালা গ্রামে। স্ত্রীর নাম নূর বানু ও তার ৪টি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির বলেন, এই মামলাটি আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com