ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগম শহরের কাউতুলী থেকে নিজ বাড়িতে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে ফিরছিলেন। তার সাথে ছিল একটি ব্যাগে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা, জমির দলিল ও ব্যাংকের চেক বই ছিল। কিন্তু সেই টাকা সহ ব্যাগটি সিএনজিতেই ভুলে ফেলে চলে যান। ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর)। সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা সহ ব্যাগটি পেয়ে রহিমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন সিএনজি চালক মনির হোসেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার রামরাইলে।
রোববার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া নিজ অফিসে টাকার মালিক রহিমা বেগমের কাছে টাকাগুলো তুলে দেন। রহিমা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার চিনাইর গ্রামের মরহুম এনামুল হোসেনের স্ত্রী।
জানা যায়, সিএনজি চালক রামরাইলের মনির হোসেন শনিবার সকালে সীটের পেছনে অনেকগুলো ভর্তি একটি ব্যাগ পান। বিষয়টি তিনি তার ফুফা বনগজ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সানু মিয়াকে জানান। সানু মিয়া কাগজপত্র ঘেঁটে একটি মোবাইল নম্বর পেয়ে যোগাযোগ করে জানতে পারেন টাকাগুলো সিএনজি যাত্রী চিনাইর গ্রামের রহিমা বেগমের। পরে তিনি বিষয়টি তাঁর আত্মীয় আখাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়াকে জানান। উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া রোববার সকালে রহিমা বেগমের হাতে টাকাগুলো ফিরিয়ে দেওয়া হয়। টাকা পেয়ে রহিমা বেগম স্বস্তি প্রকাশ করে সিএনজি চালককে ধন্যবাদ জানান।
সিএনজি চালক মনির হোসেন বলেন, যাত্রী নামিয়ে আমি বাড়িতে চলে যাই। পরদিন শুক্রবার একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাই। শনিবার সকালে সিএনজি পরিস্কার করার সময় টাকার ব্যাগটি পাই। টাকাগুলো মালিককে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি খুশি।
আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া বলেন, সিএনজি যাত্রী রহিমা বেগম ভুলে সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকা সিএনজি ফেলে যায়। সিএনজি চালক আমাকে জানালে আমি প্রকৃত মালিক ডেনে এনে তার হাতে টাকাগুলো তুলে দিয়েছি।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন