আপডেট

x

অভিযোগে আসামী করা হয়েছে মডার্ণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের পশ্চিমপাশের জায়গায় প্রস্তাবিত ডাঃ জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মোঃ জাকারিয়া, শহর যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি, পৌর এলাকার পুনিয়াউটের বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম তৌছির, পৌর এলাকার শেরপুরের বাছির ওরফে ধোপা বাছির, পৌর এলাকার দাড়িয়াপুর গ্রামের মিজান ওরফে জামাই মিজান, সদর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-সম্পাদক শহরতলীর নাটাই গ্রামের বাসিন্দাআবু কাউসার এবং পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলা গ্রামের মোঃ মিজান মিয়া।

সাবেক প্রতিমন্ত্রী হারুন আল রশিদের ভবনে হামলা-ভাংচুর ঘটনায় মামলা

বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট ২০১৯ | ৯:০৮ অপরাহ্ণ |

সাবেক প্রতিমন্ত্রী হারুন আল রশিদের ভবনে হামলা-ভাংচুর ঘটনায় মামলা
Spread the love

গত মঙ্গলবার ভোররাতে বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সাংসদ অ্যাডভোকেট হারুন-আল-রশীদের মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ভবনের সীমানা প্রাচীর গুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় দুটি অভিযোগের মধ্যে একটি আমলে নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায় হারুন আল রশীদের ভাতিজার দেওয়া অভিযোগটি পরীক্ষা করা হচ্ছে।

‍পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় “মডার্ণ এক্স-রে ও প্যাথলজি ক্লিনিক” এর মালিক জসিম উদ্দিন আহমেদ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ২০/২৫জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। অপর দিকে রাত সাড়ে ১১টায় বিএনপির নেতা হারুণ আল রশীদের চাচাতো ভাই শামীম রশিদ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২জনকে আসামী করেন।

webnewsdesign.com

ওই অভিযোগে আসামী করা হয়েছে মডার্ণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের পশ্চিমপাশের জায়গায় প্রস্তাবিত ডাঃ জাকারিয়া মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাঃ মোঃ জাকারিয়া, শহর যুবলীগের আহবায়ক আমজাদ হোসেন রনি, পৌর এলাকার পুনিয়াউটের বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হেলাল উদ্দিন, শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক শফিকুল ইসলাম তৌছির, পৌর এলাকার শেরপুরের বাছির ওরফে ধোপা বাছির, পৌর এলাকার দাড়িয়াপুর গ্রামের মিজান ওরফে জামাই মিজান, শহরতলীর নাটাই গ্রামের আবু কাউসার এবং পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলা গ্রামের মোঃ মিজান মিয়া।

এদিকে এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে পুলিশ উবায়দুল্লাহ সূচী নামে এক যুবককে আটক করেছে।
মোঃ জসিম উদ্দিন আহমেদের দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বলা হয়, গত মঙ্গলবার রাত সোয়া দুইটা থেকে ভোররাত চারটা পর্যন্ত অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীরা সদর হাসপাতাল রোডের রাস্তার পশ্চিমপাশের মডার্ণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের বিদ্যুৎ ও সিসিটিভির ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরে খননযন্ত্র (ভেকু), বুলডোজার, রামদা, লোহার শাবল, কুড়াল ইত্যাদি অস্ত্র দিয়ে ক্লিনিকের লোহার ফটক, ভবনের দেয়াল, সীমানা প্রাচীর, ভেতরের গোডাউন ভাঙচুর করে। ক্লিনিকের ভেতরে থাকা প্রাচীন তিনটি গাছ ইলেকট্রিক করাত দিয়ে কেটে দুই লাখ টাকার ক্ষতি করা হয়। দুষ্কৃতিকারীরা ক্লিনিকের তিনটি জেনারেটর, তিনটি আলট্রাসনোগ্রাফ মেশিন, চারটি এসিসহ ৮০ লাখ টাকার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ট্রাকে তুলে লুট করে নিয়ে যায়। হামলা ও ভাঙচুরের সময় বাঁধা দিতে গেলে সাক্ষীদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করা হয়।

অপরদিকে শামীম রশীদের দায়েরকৃত অভিযোগে বলা হয়, হারুণ আল রশীদের ভবনে থাকা মডার্ণ এক্সরে এন্ড প্যাথলজি ক্লিনিকের পশ্চিম পাশে এজহারে উল্লেখ করা ব্যক্তিরা কিছু ভূমি খরিদ করেন। তাদের খরিদকৃত জায়গায় যাতায়তের জন্য ক্লিনিকের লাগোয়া রাস্তাটি আসামীরা বড় করার জন্য পূর্ব থেকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। একারণেই গত মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ ও গোপন ক্যামেরা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে হারুণ আল রশিদের জায়গায় থাকা ওই ক্লিনিকের দক্ষিণ ও পশ্চিমপাশের সীমানা প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। পরে ক্লিনিকের ভেতরে ভাঙচুরের তান্ডব চালানো হয়। ক্লিনিকের ভেতরের পুরনো আম ও মেহগনি গাছ কেটে ফেলা হয়। পরে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি লুটপাট করে ট্রাকে করে নিয়ে যায় আসামীরা।

মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উল্লেখ থাকা মোঃ আবু কাউছার সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘আমি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নই। প্রস্তাবিত হাসপাতাল কিংবা এর জায়গাতেও আমার কোনো মালিকানা নেই। আমার বিরুদ্ধে আনা সব ধরণের অভিযোগে ডাহা মিথ্যা।’
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ধরণের কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম উদ্দিন বলেন, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় ক্লিনিক মালিকপক্ষ ও বাড়ির মালিক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা ক্লিনিক মালিকের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করেছি। অপর অভিযোগে কিছু ত্রুটি থাকায় ওই অভিযোগটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হলে দুটিকো একীভূত করা হবে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে বৃহস্পতিবার বিকেলে উবায়দুল্লাহ সূচী নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বাকীদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com