ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে শাহীন মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ আদালতের বিচারক মাফরোজা পারভীন এই আদেশ প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে ফেরদৌসা বেগমকে ২০০৯সালে সামাজিক ভাবে বিয়ে করেন পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামের নাসির মিয়ার ছেলে মোঃ শাহিন মিয়া। বিয়ের সময় দেড় ভরি স্বর্ণ, আসবাবপত্র ও নগদ টাকা নেন নাসির মিয়া। বিয়ের পর কিছুদিন সুখে-শান্তিতে সংসার চলছিল তাদের। এরপর শাহিন মিয়া বিদেশ যাবে বলে স্ত্রী ফেরদৌসাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা এনে দিতে চাপ প্রয়োগ করে। দেড় বছর পর ২০১১সালে ২৩ এপ্রিল দুপুরে ফেরদৌসাকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করলে অস্বীকার করলে তাকে মারধোর করে শাহীন মিয়া। মারধোরের পর ওইদিন সন্ধ্যার দিকে পুরাতন শাড়ি দিয়ে ফেরদৌসা কে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার করে ঘরের তীরে ঝুলিয়ে প্রচার চালানো হয়, ফেরদৌসা আত্মহত্যা করেছে।
এই ঘটনায় শাহীন মিয়াকে প্রধান আসামী করে মোট ৪জনের নামে হত্যা মামলা করেন ফেরদৌসা বেগমের বাবা হাবিবুর রহমান।
মামলার অন্যান্য আসামী ছিলেন শাহিনের মা মোছাঃ রোশনা বেগম, শাহিনের পিতা নাসির মিয়া ও বোন খাদিজা বেগম। মামলার পর শাহীন মিয়াকে পুলিশ গ্রেফতার করলে আদালতে ১৬৪ধারা হত্যার স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়। পরে বাদী তিন আসামীকে অব্যাহতি দিয়ে শুধু মাত্র শাহীন মিয়াকে আসামী করে অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়।
দীর্ঘদিন সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আদালত শাহীন মিয়াকে স্ত্রী ফেরদৌসা বেগমকে হত্যার দায়ে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মফিজুর রহমান বাবুল রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ওসমাণ গণি জানান রায়ে তারা সন্তুষ্ট নয়। উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন