মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনেকেই দিশেহারা। এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে দেশে চলছে লকডাউন। অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে খেটে খাওয়া দিন মজুর মানুষ গুলো। কর্মহীন হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে দিন যাপন করছেন অনেকেই।
এমনই খেটে খাওয়া মানুষের একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা চান্দুরা ইউনিয়নের ঋষিপাড়া লাল মোহন ঋষির ছেলের স্বপন ঋষি। পেশায় একজন মুচি। স্বপন ঋষির পরিবারে রয়েছে ৯জন সদস্য। তার এক মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন। সেই মেয়ে স্বামীর বাড়ি থেকে চলে এসেছে বাবার বাড়িতে। এত বড় সংসারের উপার্জনের একমাত্র ব্যক্তি স্বপন ঋষি। সারাদিনে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে জুতা সেলাই ও রঙ করে যেটা আয় হতো তা দিয়েই সংসার চলতো।
কিন্তু দেশে লকডাউনের ফলে তার আয় বন্ধ হয়ে গেছে। এত বড় পরিবার নিয়ে কিছুটা অনাহারে- অর্ধাহারে দিন যাপন করছেন।
স্বপন ঋষির এই অবস্থার বিষয় ঢাকার এক ব্যক্তি ফোনে জানায় বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমানকে। বুধবার মধ্যরাতে সেই স্বপন ঋষির বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য নিয়ে হাজির হন ওসি আতিকুর রহমান। তার হাতে তুলে দেন একটি খাদ্যসামগ্রীর ব্যাগ। যাতে ছিল ১০কেজি চাল, ৬কেজি আটা, ৪কেজি আলু, ২কেজি ডাল, ২লিটার তেল, ২কেজি লবণ ও দুইটি জীবাণুনাশক সাবান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুর রহমান বলেন, ঢাকা থেকে একজন আমাকে ফোন দিয়ে জানায় স্বপন ঋষির বিষয়ে। জানার পর পরই আমি তার বাসায় এসেছি।
তিনি আরও বলেন, এই ক্রান্তিলগ্নে আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করছি। প্রতিদিন রাতে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যারা সত্যিই অসহায় ও কর্মহীন মানুষ, তাদের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। এই পর্যন্ত ১২০জনের বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছেছে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন