মোঃ হানিফ মিয়া। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। ভবঘুরে প্রকৃতির মানুষ। আয় রোজগার নেই। তার একসময় স্ত্রী-সন্তান সবই ছিল। কিন্তু মানসিক সমস্যা থাকায় গত প্রায় ৫বছর আগে স্ত্রী-সন্তানরা তাকে ফেলে চলে যায়। এই অবস্থায় একা একা একটি ভাঙা ঘরে বসবাস করেন। কেউ খাবার দিলে খান, নয়তো বা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে তার।
মহামারী করোনা ভাইরাসের পাদুর্ভাবে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। এই ভাইরাসের সচেতনতায় দেশব্যাপী চলছে লকডাউন। খেটে খাওয়া মানুষ গুলো আজ অনেকটা সংকটে দিন যাপন করছে। আর হানিফ মিয়া মতো মানুষদের সারা বছরই চলে এমন করুণ অবস্থা।
এই অবস্থায় খাদ্যসামগ্রী নিয়ে ভবঘুরে হানিফ মিয়ার বাড়িতে যান নবীনগর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী সাইফুর রহমান (রকি)। খাদ্যসামগ্রী দিতে দিয়ে হানিফ মিয়া ঘরের অবস্থা সাইফুর রহমান রকির নজরে আসেন। ঘরটি কয়েকটি টিন নিয়ে কোনভাবে দাঁড়িয়ে আছে। বাতাসে যেন হেলে পড়বে। এসময় হানিফ মিয়া রকিকে জানায়, ঝড়বৃষ্টিতে তিনি এই ঘরে থাকতে পারেন না। যদি সম্ভব হয় সহযোগিতা করে ঘরটি তৈরি নির্মাণ করে দেন। ছাত্রনেতা সাইফুর রহমান রকি তার ফেসবুকে হানিফ মিয়া ঘরের বিষয়টি তুলে ধরেন। এই পোষ্ট নজরে আসে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের। তিনি নবীনগরের ছাত্রনেতা সাইফুর রহমান রকির সাথে যোগাযোগ করে ভবঘুরে হানিফ মিয়া ভাঙা ঘরটি তৈরি করতে অর্থ পাঠিয়ে দেন। সেই টাকায় শুক্রবার প্রয়োজনীয় টিন কিনে হানিফের বাড়িতে দিয়ে আসেন ছাত্রনেতা সাইফুর রহমান রকি। এই টিন দেখে ভবঘুরে হানিফ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এখন শুরু হবে হানিফের ভাঙা ঘর মেরামতের কাজ।
এই বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, নবীনগর কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সাইফুর রহমান রকির পোষ্টটি দেখে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার সামর্থ্য অনুযায়ী এই অসহায় লোকটির জন্য কিছু করব। এসব অসহায় মানুষের পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিৎ। তাহলে হয়তো সমস্যা কিছুটা লাগব হবে।
রাফি/–
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন