ট্রেন দুর্ঘটনায় সকল মরদেহ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন। আহতরা ছেড়েছেন সরকারি হাসপাতাল। গুরুতর আহতদের প্রেরণ করা হয়েছে ঢাকায়। কিন্তু ইতিহাসের পাতায় লিখা হয়ে গেল মন্দবাগ রেল দুর্ঘটনার নাম।
বুধবার সকাল থেকেই উৎসুক স্থানীয় মানুষ আসছে মন্দবাগ রেল দূর্ঘটনাস্থলে। দেখার তেমন কিছু নেই বাকী আর। রেল লাইনের পাশে পড়ে রয়েছে দুর্ঘটনায় গুড়িয়ে যাওয়া ট্রেনের কোচের অংশ। এতে লেগে রয়েছে ট্রেনে যাত্রীদের কাপড়ের ছেড়া অংশ। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নারী, পুরুষ ও শিশুর পায়ের জুতা। রেলে পাটাতনে কিছু কিছু অংশে লেগে রয়েছে মানুষের রক্ত। এযেন এক অন্যরকম পরিবেশ।
সকালে রাতে ঘটনাস্থল থেকে নিহত ও অঙ্গহানি হওয়া যাত্রীদের অঙ্গপতঙ্গ বস্তায় ভরে নিয়ে আসা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে। এর মধ্যে ছিল কারো শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হাত, কারো হাত-পায়ের আঙুল, কারো কান ও চামড়ার অংশ। সকাল এগুলো আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করে পুতে ফেলার জন্য।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক শওকত হোসেন জানান, ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ৪১জন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিল। এসময় তাদেরকে হাসপাতাল থেকে সকল ঔষধ সরবরাহ করা হয়। আহতদের নামের তালিকা গতকালই হাসপাতালের বিভিন্ন পয়েন্টে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়৷ আহতদের স্বজনরা তাদের খুঁজে হাসপাতালে এসে খোঁজ পায়৷ তাদের নিয়ে যায় হাসপাতাল থেকে। সকালে রেল মন্ত্রণালয়ের লোকজন এসে আহত একজন রোগীকে পায় হাসপাতালে। তখন সেই রোগীকে তারা আর্থিক সহায়তা করেন। সর্বশেষ বুধবার দুপুরে আহত হবিগঞ্জের সুব্রত চৌধুরীকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। বর্তমানে হাসপাতালে ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত কেউ ভর্তি নেই।
তিনি বলেন, গুরুতর আহতদের মধ্যে ৬জনকে ঢাকা সিএমএইচে, ৯জনকে পঙ্গু ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা। আহতদের বেশির ভাগ বাড়ি সিলেট হওয়ায় অনেকে নিজ ইচ্ছায় ছাড়পত্র সিলেট মেডিকেলে চলে গেছে।
-রাফি/–
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন