ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতারণা করে পাসপোর্ট করার অভিযোগে রোহিঙ্গা তরুণীসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আটকরা হলেন- মিয়ানমারের আরাকানের জাকেরের মেয়ে মরিজান (১৭), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নিমতাবাদের মুখলেছ মুন্সি (৫০) ও মুখলেছের ছেলের শাশুড়ি আখাউড়ার মনিয়ন্দের খুরশেদ মিয়ার স্ত্রী রিপা বেগম (৩৮)।
এ সময় তাদের কাছ থেকে জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরসহ জাতীয়তা সনদ ও জন্ম সনদ উদ্ধার করা হয়। দুটি সনদেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের হিমেল রহমান নামে এক চিকিৎসকের সত্যায়িত সিল রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা যায়, মরিজান পরিবারের সঙ্গে কক্সবাজারের টেকনাফ কুতুবপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-ব্লকে বসবাস করেন। তিনি সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দের খুরশেদ মিয়ার বাড়িতে আসেন।
খুরশেদ মিয়ার স্ত্রী রিপা বেগম তাকে নিয়ে নিজের বেয়াই (মেয়ের শ্বশুর) মুখলেছ মিয়ার বাড়ি কসবা বিনাউটি ইউপির নিমতাদাদে যান। এরপর মুখলেছ মিয়া স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার মেয়ে মোছা. তানজিনা আক্তারের নামে জাতীয়তা ও জন্মসনদ নেন এবং সত্যায়িত করেন।
পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখলেছ ও রিপা মা-বাবা সেজে মরিজানকে নিয়ে পাসপোর্ট করার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে যান। সেখানে কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদে মরিজানের রোহিঙ্গা পরিচয় বেরিয়ে আসে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক জামাল হোসেন বলেন, ‘প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পাসপোর্ট করতে এসেছিলেন তিনজন। রোহিঙ্গা পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশে দেয়া হয়েছে।’
আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ওসি সেলিম উদ্দিন।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন