আপডেট

x

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদা না দিলে সমিতি বন্ধের হুমকির সমবায় কর্মকর্তার

মঙ্গলবার, ১২ জানুয়ারি ২০২১ | ৬:২৯ অপরাহ্ণ |

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঁদা না দিলে সমিতি বন্ধের হুমকির সমবায় কর্মকর্তার
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদরের সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি তার দাবিকৃত টাকা না দিলে সমবায় সমিতি বন্ধ করারও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনের আয়োজন করেন ইবনেসিনা ইসলামি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড এবং রামচন্দ্রপুর ফতেপুর সমবায় লিমিটেড নামের।

webnewsdesign.com

মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, ২০২০ সালের নভেম্বরে সমবায় দিবস উপলক্ষে ১০ হাজার টাকা চাঁদা নিয়েছেন সদর সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। এছাড়াও তিনি আমাদের থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা নেওয়ার পায়তারা করেন। গত বছরের ৪ নভেম্বর এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করলে তাকে ইবনে সিনা ইসলামি সঞ্চয় ও ঋণদান কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের শাহীন আক্তার ভূইয়া ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। বাকী ৫০হাজার টাকা দিতে বিলম্ব হওয়ায় ম্যানেজার শাহীন ভূইয়াকে কো-অপারেটিভ সোসাইটি কোম্পানি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর দুপুরে মোবাইলে কল করে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বড় কর্মকর্তা ঢাকা থেকে আসবেন, বাকী ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। যদি টাকা দিতে না পারেন তাহলে অফিস বন্ধ করে দিবেন।’ এর কারণ জিজ্ঞাসা করা হলে উত্তরে আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, ‘আমি ইচ্ছে করলে কোন ওজর ছাড়া সমবায় সমিতি বন্ধ করে দিতে পারি।’ এছাড়াও সমবায়ীদের সাথে তিনি অসদাচরণ করেন। মানববন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ করেন রামচন্দ্রপুর ফতেপুর সমবায় লিমিটেডের সদস্যরাও।

ইবনে সিনা কো-অপারেটিভ সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজির হোসেন ভূইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন রামচন্দ্রপুর ফতেপুর সমবায় লিমিটেডের সভাপতি মারফত আলী, সেক্রেটারি হাবীব মিয়া, সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর, অফিসার ফজলুল হক, ফিল্ড অফিসার ইমন চক্রবর্তী ও সদস্য শরীফ প্রমূখ।

এসব অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে সমবায় অফিসে যোগদান করার আগে অফিসটি অন্যভাবে চল ছিল। আমি এসে অফিসটিতে শৃঙ্খলা ফিয়েছি। কিছু সমিতি কারো ইন্ধনে এই কাজগুলো করছে। আর রাম চন্দ্রপুর সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের অধিনে নয়। যেসব অভিযোগ করা হচ্ছে সেগুলো মিথ্যা-বানোয়াট।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com