আপডেট

x

বিজয়নগরে মালটার ও ড্রাগন ফল চাষে সফলতায় কৃষকের মুখে হাসি

শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ৭:১৬ অপরাহ্ণ |

বিজয়নগরে মালটার ও ড্রাগন ফল চাষে সফলতায় কৃষকের মুখে হাসি
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় আম, কাঁঠাল ও লিচুর পর চলতি মৌসুমে মাল্টা চাষে ব্যাপক উৎসাহ পাওয়ায় গতবছরের তুলনায় মাল্টার উৎপাদন বেশী হয়েছে। পাশাপাশি বিদেশী ফল ড্রাগন চাষেও এগিয়ে এসেছেন উদ্যোক্তারা । চলতি মওসুমে মাল্টা ও ড্রাগন উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।

কৃষি বিভাগ জানায়, চলতি মওসুমে জেলায় ৭৬হেক্টর জমিতে মাল্টা ও ৩ হেক্টর জমিতে ড্রাগনের আবাদ হয়েছে। অনুকুল আবহাওয়া ও সীমান্তবর্তী এলাকার মাটির গুনগত কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চলের তিন উপজেলা ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফল উৎপাদনে দেশে প্রসিদ্ধ হয়ে উঠেছে।

webnewsdesign.com

জেলার নয়টি উপজেলার মধ্যে বিজয়নগর, কসবা ও আখাউড়ায় আম,কাঁঠাল, লিচু, পেয়ারার পর চলতি মওসুমে বারি মাল্টা-১ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। ৭৬ হেক্টর জমিতে ১হাজার ২শত ৯২মেট্রিক টন মাল্টার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের।

এদিকে বিদেশী ফল ড্রাগন চাষ করে কৃষকরা লাভবান হওয়ায় চলতি মওসুমে ৩ হেক্টর জমিতে বারি ড্রাগন-১ এর ৩.১২ মেট্রিক টন উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ড্রাগন ফল হৃদরোগ, ডায়বেটিস সহ বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সক্ষম বলে জানান কৃষিবিদরা। উৎপাদন খরচ যেমন কম তেমনি ফুল থেকে ৪৫ দিনে ফল পাওয়া যায় ।লাল মাটির কারনে জেলার সীমান্তবর্তী মিষ্টির উপজেলা বলে খ্যাত তিন উপজেলায় এএলাকার ফল যেমনি ফরমালিন ও বিষমুক্ত তেমনি খেতেও সুস্বাদু হওয়ায় দেশ বিদেশে খ্যাতি অর্জন করেছে এই এলাকার উৎপাদিত ফল। দূরদূরান্ত থেকে পাইকাররা এসে বাগান থেকে মাল্টা কিনে নিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এখানকার মাল্টা আশপাশের জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করা হচ্ছে।

বাগান মালিক,পাইকার ও এলাকাবাসী জানান, বিজয়নগর উপজেলায় লিচু, পেয়ারা, কাঠালের জন্য প্রসিদ্ধ বলে দেশব্যাপী পরিচিত। কৃষি বিভাগের সহায়তায় এখন মাল্টা ও ড্রাগন ফল চাষে ঝুকেছে কৃসকরা। পাইকারি প্রতি কেজি মালটা ১৩০ থেকে ১৪০টাকা ও ড্রাগন ১৫০টাকা থেকে ১৬০টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। এতে ভাল উৎপাদন ও বিক্রয় হওয়ায় লাভবান হচ্ছে কৃসকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খিজির আহম্মেদ, উপজেলা কৃষি কাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এখানে মাঠ ফসলের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ফলের চাষ করা হয়। এখানে ৪৩০হেক্টর জমিতে লিচু চাষ হয়। গত মৌসুমে প্রায় ১১কোটি টাকার লিচু বিক্রয় হয়। এছাড়াও এবার আম ও পেয়ারা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে চাষ হয়েছে। এবছর মাল্টা চাষ হয়েছে প্রায় ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষা হয়েছে। সম্প্রতি ৩হেক্টর জমিতে চাষাবাদ করা হয়েছে। আমরা পর্যায়ক্রমে উন্নতজাতের মাল্টা ও ড্রাগন ফল চাষে কৃষকদের পাশে দাঁড়াবো।

জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার জানান, দিনে দিনে এজেলায় ফলের আবাদ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। জেলার ৩হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে ফল চাষ হচ্ছে বর্তমানে আম, কাঁঠাল, লিচু ও পেয়ারার পাশাপাশি মাল্টা এবং ড্রাগন চাষ করে সফল হওয়ায় তারা লাভবান হয়েছে। সরকারি ভাবে মাল্টা ও ড্রাগন চাষে তাদের আরও উৎসাহ দেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com