বিজয়নগরে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মামাতো-ফুফাতো ভাই

মঙ্গলবার, ০৯ মার্চ ২০২১ | ১:৫৩ পূর্বাহ্ণ |

বিজয়নগরে তিন সন্তানের জননীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মামাতো-ফুফাতো ভাই
Spread the love

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় তিন সন্তানের জননী রহিমা বেগমের (৪৫) নামে এক নারীকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গত শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের জালালপুর গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের সহিদ মিয়ার স্ত্রী। এই ঘটনায় দুইজন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৮ মার্চ) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা গেছে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার গিলামোড়া এলাকার দুলাল মিয়ার ছেলে আশ্বাদুল আলম প্রকাশ সুরুজ মিয়া (১৭) ও তার মামাতো ভাই হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ আলাউদ্দিনের ছেলে সালাউদ্দিন প্রকাশ সালু(১৫)।

webnewsdesign.com

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৫ মার্চ দুপুরে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিজ বাড়ি থেকে চাউল ও অন্যান্য বাজার ক্রয় করতে সাথে ৫০হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় রহিমা বেগম (৪৫)। বাজারে যাওয়ার পর বিকেলে মেয়ের কাছে ফোন দিলে রহিমা বেগম তার মেয়ের সাথে কথা হয়। এরপর সন্ধ্যা থেকে তার আর কোন সন্ধ্যান পাওয়া যায়নি। পরদিন ৬ মার্চ সকালে স্থানীয় একটি ঝোপের আড়ালে রহিমা বেগমের গলায় কাপড়ের (সূতি) বেল্ট দিয়ে ফাঁস লাগানো মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এই ঘটনার রহিমা বেগমের ছেলে কামাল মিয়া বাদী হয়ে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

এরপর এই ঘটনায় রহস্য উদঘাটনে তদন্তে নামে বিজয়নগর থানা পুলিশ। আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারসহ সোর্স ব্যবহার করে ৭ মার্চ রোববার হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আশ্বাদুল আলম প্রকাশ সুরুজ মিয়া নামের একজনকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

আটককৃত আশ্বাদুল আলম প্রকাশ সুরুজ মিয়া জানায়, হত্যাকাণ্ডে তার সাথে সহযোগী ছিল মামাত ভাই মো. সালাউদ্দিন প্রকাশ সালু(১৫)। তারা দুইজন পরিকল্পিতভাবে রহিমা বেগমকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে রহিমার ব্যবহৃত মোবাইল সেট ও নগদ ৩২হাজার টাকা নিয়ে যায়।

সালুর দেওয়া তথ্য মতে এই ঘটনার সাথে জড়িত মোঃ সালাউদ্দিন প্রকাশ সালু(১৫) তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com