ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার হাকর সীমান্তে আটকে পড়া ১২জন নারী-পুরুষ ও শিশুর ঠাঁই মিলেছে সীমান্তের শুন্য রেখার ভারতীয় সীমানার একটি পরিত্যক্ত মাটির ঘরে। গত চারদিন যাবত ওইখানে মানবেতর জীবন যাপন করছে তারা। এখনো জানা যায়নি আটকে পড়া লোকজন কোন দেশের নাগরিক।
এ বিষয়ে কসবা সীমান্তহাটে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) বিকেলে দু’দেশের ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক পর্যায়ে পুনরায় পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মেহেদি হাসান ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন বিএসএফ কমান্ডার কমলনাথ। এর আগে গত শনিবারও কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক হয়েছিলো। এ নিয়ে পতাকা বৈঠক হলেও তথ্য প্রমানের অভাবে কোন দেশের নাগরিক পরিচয় মিলছেনা।
আরও পড়ুনঃ কসবা সীমান্তে ভারতীয় ১২ নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা
বিজিবি ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, কসবা পৌর শহরের হাকর এলাকার ভারত সীমান্তের ২০৩৯/১২ এস পিলারের নিকট দিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় ৭জন শিশুসহ ১২জন নারী-পুরুষ কাঁটা তারের বেড়া পার করে বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এ সময় বিষয়টি টের পেয়ে বাঁধা দেয় ওই সীমান্তে টহলরত বিজিবি সদস্যরা। এ নিয়ে গত শনিবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় বিজিবির কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক হয়।মঙ্গলবার বিকেলে বৈঠকের পরও ১২জন নারী-পুরুষকে সীমান্তের শূণ্য রেখায় ভারতীয় এলাকায় অবস্থান করতে দেখাগেছে। সতর্কতাস্বরুপ সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়ানো হয়েছে।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্ণেল এস এম মেহেদী হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দু’দেশের অধিনায়ক পর্যায়ে পতাকা বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে যেহেতু সারা বিশ্বে করোনা ভাইরাসের সংক্রমন তাই পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই ১২ জন নারী পুরুষ শুন্যরেখায় অবস্থান করবে। এ বিষয়ে আরো প্রশ্ন থাকলেও তিনি সাংবাদিকদের কিছু না বলেই চলে যান।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন