ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়ার বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হতদরিদ্র প্রতিজনের মধ্যে ১০কেজি করে চালের মধ্যে তিনি মাত্র ৭/৮ কেজি করে চাল বিতরণ করছেন। এই বিষয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
যদিও অভিযোগের বিষয়ে নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া তা অস্বীকার করে বলেন, চালের বস্তায় ওজনে কম থাকায় কিছু কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ সঠিক না বলে তিনি দাবি করেন।
নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নে সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, করোনা ভাইরাস আসার পর সরকার হতদরিদ্রদের জন্য ইতিমধ্যে এই ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ে ১০০ জন, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৭১ জন ও বুধবার নতুন করে ৩০০ জনের মধ্যে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হতদরিদ্ররা অভিযোগ করে বলেন বৃহস্পতিবার প্রতিজনকে ১০কেজি চালের মধ্যে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া দিচ্ছেন মাত্র ৭/৮ কেজি করে চাল। কেউ এই বিষয়ে প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের ধমক দিয়ে বের করে দিয়েছেন। আর বলেছেন বেশি কথা বললে আগামীতে আর এই সরকারি চাল পাবে না।
এই ঘটনায় স্থানীয় নবীপুর গ্রামের মো. শফিকুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক ও নবীনগর উপজেলা নিবার্হী অফিসারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ মিয়া হতদরিদ্রদের জন্য ১০ কেজি করে চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম করার অভিযোগ করেছেন। তিনি ১০ কেজি চালের বদলে মাত্র ৭/৮ কেজি চাল বিতরণ করছেন। তিনি বিষয়টি সংশ্লিষ্ঠ তদন্ত করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগে বিষয়ে নবীনগর পশ্চিম ইউনিয়নে চেয়ারম্যান ফিরোজ মিয়া জানান, আমি অসুস্থ, বাইপাসের রোগি। এসময় তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ৩০ কেজি চালের বস্তায় ওজনে কম রয়েছে। ফলে কিছু কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আনিত অভিযোগ সঠিক না বলে তিনি দাবি করেন।
এই ব্যাপারে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মাছুম জানান, নবীনগরে ত্রাণের চাল নিয়ে অনিয়ম করার কোন সুযোগ নেই। আমি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলছি, কেন চাল ওজনে কম দেওয়া হচ্ছে।
Development by: webnewsdesign.com
মন্তব্য করুন