আপডেট

x

দীর্ঘদিন পর সুস্থ হয়ে ভারত থেকে পরিবারের কাছে ফিরলেন শায়েস্তারা-সমীর

শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১ | ১১:৩২ অপরাহ্ণ |

দীর্ঘদিন পর সুস্থ হয়ে ভারত থেকে পরিবারের কাছে ফিরলেন শায়েস্তারা-সমীর
Spread the love

২০০৮ সালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় যান মানবাধিকার কর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম৷ সেখানে তার নিজ এলাকা নড়াইল একটি মেয়েকে খুজতে যান। এক পর্যায়ে মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতাল নামে একটি মানসিক চিকিৎসার হাসপাতালে সেই মেয়েটির সন্ধান পান সৈয়দ খায়রুল আলম। সেই হাসপাতালে শুধু তার এলাকার মেয়েটি নয়, আরও অনেক বাংলাদেশি মানসিক প্রতিবন্ধীর সন্ধান পান।

পরে দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের হাই কমিশন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় নড়াইলের সেই মেয়েটিকে মানসিক ভাবে সুস্থ হওয়ার পর ২০২০সালের মার্চ মাসে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু তখন অন্যদেরও সুস্থতার পর দেশে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টায় ছিলেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় ১৩বছর পর শুক্রবার (১২ মার্চ) দুপুরে আরও দুই বাংলাদেশিকে ভারত থেকে মানসিক সুস্থতার পর দেশে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন। দুপুর ১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে তারা ভারত থেকে দেশে ফিরেন।

webnewsdesign.com

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার দেলী গ্রামের সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী শায়েস্তারা বেগম (৫১) ও ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলার ঝুমারকান্দা গ্রামের শশধর মজুমদারের ছেলে সমীর কুমার মজুমদার মানসিক সুস্থতার পর দেশে ফিরলেন।

চেকপোস্টে আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার মো. জোবায়েদ হোসেন তাঁদেরকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূরে আলমের কাছে হস্তান্তর করে। এরপর তাঁদেরকে নিজ নিজ পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।

সমীর কুমার মজুমদারকে ছোটভাই অমীর মজুমদার ও শায়েস্তারা বেগমকে ভাই জয়নাল আবেদীনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন পর নিজ দেশে ফিরে স্বজনদের কাছে পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন শায়েস্তারা ও সমীর। দুজনেই মানবাধিকারকর্মী খায়রুল ও দুইদেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

মানবাধিকারকর্মী সৈয়দ খায়রুল আলম বলেন, আমার বাড়ি নড়াইল জেলায়। সেখান থেকে একটি মেয়ে নিখোঁজ হয় দীর্ঘদিন আগে। পরে খবর পাওয়া যায় সে আগরতলা আছে। আমি সেই মেয়েকে খুঁজতে আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে সমীর ও শায়েস্তারার খোঁজ পাই। পরবর্তীতে তাদের ঠিকানা জোগাড় করে স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করি। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে দুই দেশের হাই কমিশন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সহযোগীতায় অবশেষে তাঁদেরকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার মো. জোবায়েদ হোসেন জানান, বিক্ষিপ্তভাবে ঘুরাফেরা করার সময় ২৪জন বাংলাদেশীকে পুলিশ আগরতলা পুলিশ আটক করে। তারা আগরতলার মডার্ণ সাইকিয়াট্রিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁরা কীভাবে ভারতে এসেছেন- সেটি জানা যায়নি। পরবর্তীতে মানসিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মন্তব্য করুন

Development by: webnewsdesign.com